তদন্তে নেমে পুলিশ লক্ষ্য করে, মৃতদেহের গলায় ফাঁসের দাগ এবং মাথায় গভীর ক্ষত ছিল৷ সুজয় সরকার নামে মৃত ওই টোটোচালককে যে খুনই করা হয়েছে, সে বিষয়ে কার্যত প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিল৷
কারা ওই টোটোচালককে খুন করল, তা জানতে ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ৷ সেই সূত্রেই আটক করা হয় আরও দুই টোটো চালককে৷ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সুজয় রায় ও বিমল বর্মন নামে দুই অভিযুক্ত৷ এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই টোটোচালক ধৃত এই যুবকেরই বন্ধু ছিল৷ জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, মহিলাঘটিত কারণেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ নিজেদের স্ত্রীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই ওই তিনজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়৷ সেই বচসার মধ্যেই সুজয় সরকার নামে ওই যুবককে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করে বাকি দুই অভিযুক্ত৷
ধৃতদের আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।