দীর্ঘদিন পর পাহাড়ে ঢুকেছেন বিমল গুরুং। সেই খবর পেয়েই শুক্রবার ভোরে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু, গুরুংবাহিনীর সিরুবাড়ি ক্যাম্প থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে।
গুলিতে নিহত হন এসআই অমিতাভ মালিক। ঠিক সে সময় কোথায় ছিলেন গুরুং? পুলিশসূত্রে খবর, সেখান থেকে খুব কাছে লিম্বুবস্তিতেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই মোর্চা নেতা। বিমল গুরুং যাতে নিরাপদে থাকেন সে জন্য লিম্বুবস্তির আগে সিরুবাড়িতে ক্যাম্প করেছিল তাঁর দলবল। শুক্রবার পুলিশ ঢোকে সে পথেই। ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টা পর গুরুঙের সেই গোপন আস্তানায় ঢুকল পুলিশ।
advertisement
নেতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যেতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকেই গুলি ছোড়ে গুরুংবাহিনী। সুযোগ পেয়ে দলবল নিয়ে রঙ্গিত নদী পেরিয়ে পালান বিমল গুরুং।
ক্যাম্পের খুব কাছেই রঙ্গিত নদী। শুক্রবার ভোরে সঙ্গীদের সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে সরু রাস্তা ধরে নদীর ধারে পৌঁছে যান বিমল গুরুং। লিম্বুবস্তির ওই ডেরা থেকে পালানোর সময় ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগই নিয়েছিলেন গুরুং। রবিবার, সেই রাস্তা ধরে পুলিশও পৌঁছল রঙ্গিতের পাড়ে।
লিম্বুবস্তির ডেরায় বসবাসের চিহ্ন স্পষ্ট। গুরুঙের দলবলের পরিত্যক্ত পোশাক আশাক মিলেছে। মিলেছে তাড়াহুড়োয় ফেলে যাওয়া কিছু টাকা পয়সাও। পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা। গুরুঙের ভুলের অপেক্ষায় পুলিশ।