প্রাথমিক তদন্তে বেশকিছু আপত্তিকর রাসায়নিক ব্যবহারের হদিশ মিলেছে। এরই জেরে তিনটি কারখানাকে নোটিস ধরিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। কারখানাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়োর নমুনা। এইসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে সরকারি ল্যাবে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: মদ্য়পান করেও চালানো যাবে গাড়ি, হবে না জরিমানা- হেনস্থা! নতুন ভাবনা কলকাতা পুলিশের, জানালেন নগরপাল
শুধু তাই নয়, যেসব রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে সেসব খেলে হার্টের অসুখ, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ হতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকায় হলুদ ও রান্নার উপকরণ তৈরির কারখানাতে হাজির হন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। একাধিক সরকারি দফতর একযোগে অভিযানে সামিল হয়। নেতৃত্বে ছিলেন চাঁচোল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রাহুল মণ্ডল। হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়ো সহ রান্নার মশলা তৈরির প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: আরও কড়া শীতের কামড় বাংলায়, জেলায় জেলায় শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা জারি
এই প্রক্রিয়া দেখে কার্যত চক্ষুচড়ক গাছ প্রশাসনিক কর্তাদের। অধিক মুনাফা লাভের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ও রং মিশিয়ে ভেজাল হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো তৈরি করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণেই নিশ্চিত সরকারি আধিকারিকরা।
এ দিন হরিশ্চন্দ্রপুরের কারখানায় হানা দিয়ে ভেজাল হলুদের কারবারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। কারণ, অনেকেই এইসব কারখানা থেকে হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়ো সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এইসব কারখানা থেকে কোথায় কোথায় হলুদ ও মশলা পৌঁছেছে সেই খোঁজও নেওয়া হবে।