এরই প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে এলাকায় পথে নামেন প্রতারিতরা। টাকা ফেরতের পাশাপাশি পুলিশি তদন্তের দাবিও করেন তাঁরা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছই পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ বিক্ষোভ ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় পরে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করে পুলিশ দুপুর নাগাদ যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু কেন এতটা বিক্ষোভ স্থানীয়দের? অবরোধকারী হামেদা বিবি, সালো বিবি-রা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, তাঁরা গরিব মানুষ। নিজেদের পাকা ঘরবাড়ি নেই। পরানপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাঁদের আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার রহস্যফাঁসের অপেক্ষা? দিল্লিতে মেয়ে সুকন্যার সামনে বাবা অনুব্রতকে বসিয়ে 'গরু খোঁজা' তল্লাশি ইডির
এজন্য পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা কারও কাছে পাঁচ হাজার কারও কাছে দশ হাজার, কারও কাছে আরও বেশি নগদ টাকা কাটমানি তোলেন। মাথার ওপরে ছাদ পাবেন ভেবে কষ্ট করে উপার্জন করার টাকা কাটমানি হিসেবে দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, আবাস যোজনার তালিকা বের হলে দেখা যায় কারওরই নাম নেই। ফলে পাকা ঘরের স্বপ্ন দুরঅস্ত। আবার যে টাকা কাটমানি বাবদ দিয়েছেন তাও ফেরতের কোনও লক্ষণ নেই। বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ওর কাছে টাকার পাহাড় আছে', অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য দারুণ 'বুদ্ধি' দিলেন সেলিম!
যদিও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধান। ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য কারও কাছে কোনওরকম টাকা নেওয়া হয়নি। এই আন্দোলনের পেছনে বিরোধীদের মদত থাকতে পারে বলেও পাল্টা অভিযোগ প্রধানের। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন বেশ কিছু মানুষ কাটমানি ফেরতের অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধ চলায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়। পরে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
সেবক দেবশর্মা