তবে যাঁরা পৌষ সংক্রান্তিতে ঠাকুরকে পিঠেপুলি উৎসর্গ করেন তাঁরা এখনও মাটির সরা কেনেন। তাই তাঁদের দিকে তাকিয়েই সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে সরা বানানোর এই কাজ করে কিছুটা অতিরিক্ত উপার্জন করেন পালপাড়ার কুমোরেরা।
আরও পড়ুন : ঝাড়বাতি আর পালকি মনে করিয়ে দেবে সাবেক আমল, শীতে ছোট্ট ছুটিতে চলুন কাশিমবাজার রাজবাড়িতে
advertisement
এঁটেল মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো জল মিশিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সেই মাটিকে মাখিয়ে সরা তৈরির উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর নরম মাটিকে ছাঁচে ফেলে বিভিন্ন আকৃতির সরা তৈরি করা হয়। কোনও সরার নাম এক খুঁটির সরা আবার কোনটা সাত খুঁটির সরা। প্রতিটি সরার জন্য একটি করে মাটির ঢাকনাও তৈরি করেন মৃত্ শিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর সরাগুলিকে রৌদ্রে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। তারপর সেগুলিকে একটি একটি করে বাছাই করে তা পাইকারি ও খুচরো হিসেবে বিক্রি করা হয়। আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সরা-সহ ঢাকনার দামও বিভিন্ন রকম হয়। এই মাটির সরা ৫০ থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি হয়।