গত ২৭ মে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। দাদা, বৌদি, বোন, দিদিদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডাও মেরেছিলেন। ৮ জুন ট্রেনে ফেরেন কলকাতায়। গতকালও বোনের সঙ্গে মোবাইলে শেষ কথা হয়েছিল। কথা দিয়েছিলেন, কাজ শেষে ফোন করবেন। আর দাদার ফোন আসেনি। কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন ওঁর বোন। এলো ওঁর অফিস থেকে ফোন।
দাদা, বৌদিদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন তিনি। বৌদিকে স্কুটি কিনে দেবেন বলেছিলেন। ছুটি পেলেই বাড়িতে ফিরে আগে স্কুটির শো রুমে যাওয়ার কথা ছিল। আজ এক ফোনে শোকের ছায়া নেমে এসছে লোলে বস্তিতে। কোনও রকম হতাশা ছিল না। ওর শরীরী ভাষাতেও তা ধরা পড়েনি। হতাশা বা মানসিক অবসাদ থাকলে তা বোঝা যেত। আমরা অন্তত বিন্দুমাত্র তা টের পাইনি। কীভাবে এবং কেন এমনটা করলো? কিছুই বুঝতে পারছি না আমরা। বলছিলেন বৌদি।
advertisement
শুধু পরিবারের লোকই নয়, পড়শিরা চুডুপের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন। ১০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসে দিব্বিই ছিলেন খোশ মেজাজে। কোনও রকম রাখঢাক কেউই লক্ষ্য করেননি। এমন ঘটনা যে ঘটবে তা কেউ আঁচই করতে পারেননি। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর কফিনবন্দি হয়ে ফিরবে লোলেবস্তির বাড়িতে। আজ ভরদুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাসের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- বাবা মাছ বিক্রেতা, মা পরিচারিকা! আর্থিক সংকটের মধ্যেই স্বপ্নপূরণ, রাজ্যে সপ্তম রীতা
উর্দি পড়েই সার্ভিস রিভলবার নিয়ে ঘুরছিলেন রাস্তায়। এরপরেই পর পর গুলি চালান। পরে নিজের মাথার নীচে এলোপাতারি গুলি চালান। চারদিকে তখন আতঙ্কে। গুলির শব্দ থামতেই সামনে যান। তখন পড়ে রয়েছে কন্সটেবলের নিথর দেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কর্তাদের অনুমান, মানসিক অবসাদ, হতাশা থেকেই এই ঘটনা। বাংলাদেশের হাই কমিশনারে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।