জলদাপাড়ার জঙ্গল লাগোয়া শিসামারা নদীর ধারেই রয়েছে ‘রাইনো কটেজ’ নামে একটি হোম স্টে। এখানে নিত্যদিন বুনো জন্তুদের হামলা লেগেই থাকে। আর সেই কারণে বুনোদের থেকে হোম স্টে পাহাড়ায় রাখা হয়েছে ‘ পাকিস্থানি পিট বুল’ প্রজাতির দুই কুকুর মালঙ্গি ও টবু । দুজনে দেখতে যেমন তাগড়া তেমনি এদের আওয়াজ।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী-এর প্ল্যানে খুন রাজা রঘুবংশী! দাদার মৃত্যুর পর বোন যা করছে…! চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে
advertisement
এই হোম স্টের ম্যানেজার অরুনাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ না না এত কিছুর পরেও আমাদের মালঙ্গি ও টবুর প্রতি প্রেম ভালবাসা একটুও কমে নি। আর তাছাড়া ওরা থাকা মানে আমাদের হোম স্টে সুরক্ষিত থাকা। হাতি বা চিতাবাঘ যাই আসুক ওরা সকলকে সতর্ক করে দেয়। সতর্ক করে দেয় সেই বুনো জন্তুদেরও। হোক ওরা পাকিস্থানি কিন্তু ওদের প্রতি ভরসা আমাদের ১০০ শতাংশ।”
তবে এই রিসোর্টের অন্য এক ম্যানেজার প্রদীপ রায়ের সুর কিন্তু একটু আলাদা। তিনি বলেন, “ পাহেলগাঁও ঘটনার পরে ওদের নিয়ে আমাদের একটু অস্বস্তি হয়েছে ঠিকই । যেহেতু ওদের নামে পাকিস্থান শব্দটা রয়েছে। কিন্তু তা বলে কী আর আমরা আমাদের সুরক্ষায় কোনরকম খামতি রাখব ! আর দুই দেশের যা ঝামেলা তাতো মানুষকে নিয়ে। ওরাতো নিরপরাধ পোশ্য। ওদের আর দোষ দিয়ে কী লাভ। তবে আমাদের এই দুই কুকুর বেশ বিশ্বস্ত ও ভরসাযোগ্য। ওরা খুব শান্ত ও ভদ্র । রাতে হোম স্টে পাহাড়া দেওয়ার জন্য ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ”
তবে, মালঙ্গি আর টবু কিন্তু পর্যটকদের কাছেও খুব আদরের। কলকাতা থেকে এই হোম স্টেতে এসেছেন সঙ্গিতা গুপ্ত । তিনি অবশ্য কুকুর প্রেমী। আর তাই দুপুরে আসার পরেই দুই পাকিস্থানি পিট বুলের সঙ্গে পরিচয় হয়ে গিয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, “দেখুন জন্তু জানোয়ার পশু পাখিদের মধ্যে কোন বিদ্বেষ হয় না। দেশ কাল ছাড়িয়ে ওদের ভালবাস ও প্রেম। তাতে কোন কৃত্রিমতা থাকে না। আমিতো ওদের আদর করে এলাম। হোক না ওরা পাকিস্থানি। তাতে আমার বয়েই গেল!”