কোভিডের জেরে বন্ধ রয়েছে চিড়িয়াখানার দরজা। নেই পর্যটকের দেখা। একেবারেই শুনশান চিড়িয়াখানা। এরই মাঝে এলো নতুন অতিথি। আজ চিড়িয়াখানার প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নিল রেডপাণ্ডা শাবক। শাবকের মায়ের পোশাকি নাম "ইয়েশি" এবং বাবার নাম "পাবু"। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মা ও শাবক, দু'জনেই সুস্থ রয়েছে। গত ৮ জুলাই জন্ম নেয় দুই রেডপাণ্ডা শাবক। সব মিলিয়ে এই মূহূর্তে রেডপাণ্ডার সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ২৬! ক্রমেই রেডপাণ্ডার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় সাফল্য বলে মনে করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ দেশের একমাত্র প্রজনন কেন্দ্র দার্জিলিং। পাহাড়ী তাপমাত্রায় বেড়ে উঠছে রেডপাণ্ডার শাবকেরা। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয় মিশমি টাকিন, স্নো লেপার্ড এবং হরিণের শাবক। করোনা আবহে বন্ধ চিড়িয়াখানায় মাতৃস্নেহে বড় হয়ে উঠছে শাবকেরা। ছটফটানি বেড়েছে স্নো লেপার্ডের শাবকের। চলতি বছরেই জন্ম নিল পঞ্চম রেড পান্ডা শাবক।
advertisement
শাবকদের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন চিড়িয়াখানার পশু বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা। একেবারে নির্জনতায় বেড়ে উঠছে ওরা। দেখা নেই ক্যামেরার। ফ্ল্যাশ বাল্বের ঝলকানি। তবে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে কোনোরকম অসুবিধে যাতে অসুবিধে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখছে কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই জানান, আপাতত রেডপাণ্ডা শাবক এবং মা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। নিজেদের এনক্লোজারে দিব্ব্যি রয়েছে। পৃথিবী থেকে লুপ্তপ্রায় রেডপাণ্ডার একমাত্র খোঁজ রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। আর দার্জিলিংয়েই একমাত্র প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শৈলশহরে রেডপাণ্ডার বংশবৃদ্ধিতে খুশীর আবহ বন দপ্তরে। এখন অপেক্ষা চিড়িয়াখানা খোলার, পর্যটকদের জন্যে বেড়ে উঠছে শাবকেরা!