সমাজে সকলের সমান অধিকার-এই চিন্তা ভাবনা থেকেই এমন পরিকল্পনা করেন সিদ্ধান্ত দম্পতি। বর্তমানে মেয়েরাও সমস্ত ক্ষেত্রে ছেলেদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাল্লা দিচ্ছেন। তাঁদের পারিবারিক পুরোহিত সদানন্দ বাগচী বলেন, ‘‘তাঁদের দুইটি মেয়ে। ছোট মেয়ের জন্মের পর থেকেই বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি সম্মতি দিয়েছিলাম। তার পরও তাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাল ভাবে জেনে নেন। অবশেষে মেয়ের উপনয়নের অনুষ্ঠান পালন করলেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন : উজান স্রোতে পাড়ি! বিধিনিষেধ পেরিয়ে বৈদিক রীতি মেনে উপনয়নে পৈতে পরল ছকভাঙা চিকিৎসক দম্পতির মেয়ে
তাই সমস্ত দিক বিচার করে সমাজে এক বার্তা পৌঁছে দিতেই এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন। সিদ্ধান্ত দম্পতির ছোট মেয়ে ৯ বছর বয়সি মধুপর্ণা উপবীত ধারণ করেছেন। অর্থাৎ ছোট মেয়েকে পৈতে দেওয়া হল । পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই গত ধরা চিন্তাকে পাল্টানোর পথে এক নজিরবিহীন উদাহরণ স্থাপন করল এই পরিবার। বাবা মনোজকুমার সিদ্ধান্ত বলেন, ‘‘সমাজের মধ্যে এক বার্তা দিতেই এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন। পরিবার আত্মীয় পরিজন সকলেই এই উদ্যোগে আমার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন : পরীক্ষার আগে সন্ধ্যায় বাড়ির ছাদে জামাকাপড় তোলার সময়…টেস্টে তৃতীয় হয়েও মাধ্যমিক দেওয়া হল না ছাত্রীর
পরিবারের সদস্য-সহ সবাইকে বার্তা দিতে চান যে ঘরের মেয়েকে পিছনে ফেলে রাখা চলবে না। বর্তমানে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। মেয়েদেরও সামাজিকভাবে উঁচু আসনে রাখা উচিত। সমাজের মধ্যে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন আসুক এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে-এমনটাই চান মনোজবাবু। সকলেই সমর্থন করেছেন তাঁর এমন অভিনব উদ্যোগ ও চিন্তাভাবনাকে।