জানা গিয়েছে, ২০১৯-এর সুমারিতে ৫২টি বড় এবং ৩টি শাবক গন্ডারের দেখা মিলেছিল। মাঝে বেশ কয়েকটি গণ্ডারের মৃত্যু হয় বিভিন্ন কারণে। তবে চলতি বছরের মার্চ মাসেই গন্ডার গণনা শুরু হয় গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এই বছর ফের এই গণনা হচ্ছে। মোট ৫০টি দল গণনায় অংশগ্রহণ করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Viral News: মলাশয়ের ভিতরে ২ কিলোর ডাম্বেল, চিকিৎসকরা হাত ঢুকিয়ে বার করে আনলেন
৫০টি দলের মধ্যে রয়েছেন বনকর্মী, ফরেস্ট গাইড (forest guide) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির (joint forest management committee) সদস্যরা। একটি দলে তিন থেকে চার জন করে সদস্য রয়েছেন। দু’দিন ধরে চলে এই গণনা। এই গন্ডার গণনায় ব্যবহার করা হয়েছে ১৭টি কুনকি হাতির।
বনদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ২৫২ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গন্ডারের গণনা হয়েছে। এই জাতীয় উদ্যানের অধীনে ২০টি রেঞ্জ রয়েছে। কুনকি হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা গন্ডার গননার কাজ করেছেন। গণনার সময় বেশ কয়েকটি গন্ডার শাবকের দেখা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
বনকর্মীদের একাংশের অনুমান, এবার গন্ডারের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে যেই দু’দিন গন্ডার গণনা চলছিল, সেই দুদিন পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। ডিএফও অংশু যাদব বলেন, ‘দুদিন ধরে এই গন্ডার সুমারি চলে। ৫০ টি দলে ভাগ করে এই বারের গণনা চলে। নির্বিঘ্নেই কেটে গিয়েছে।' জলপাইগুড়ির সাম্মানিক ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন (honorary wildlife warden) সীমা চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে শেষবার গন্ডার গণনার সময় ৫২টি বড় গন্ডার ও ৩টি শাবকের দেখা মিলেছিল। এবার সেই সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে চলেছে। জানা গিয়েছে স্ত্রী গন্ডারের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এর ফলে আগামীতে বংশবৃদ্ধিতে সুবিধে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যা বাড়লে সেই আন্দাজে থাকতে হবে তৃণভূমিও। এই বিষয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে গন্ডারের সংখ্যা বাড়লে সেটি লোকালয়ে খাবারের খোঁজে আসতে পারে। কিন্তু এই ভয় কাটিয়ে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় বিভিন্ন ঘাস ও গাছ রয়েছে। ভয় পাওয়ার দরকার নেই। নির্বিঘ্নেই থাকবে বন্যপ্রাণ। মানুষেরও ক্ষতি হবে না।
Vaskar Chakraborty