প্রথমে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় । তারপর কৈলাস বিজয়বর্গী। জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে এবার নাম এল মানেকা গান্ধীর। হোম নিয়ে কথা বলতে কৈলাস বিজয়বর্গীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা স্বীকার করেন জুহি নিজেও।
এই যোগাযোগ প্রসঙ্গেই নাম এসেছে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেত্রীর । যাবতীয় তথ্য প্রমাণে সিআইডি মনে করছে, চন্দনার হোমের মালিকানা পাওয়াই লক্ষ্য ছিল জুহি চৌধুরীর। হোম বাঁচাতে জুহির কথাতেই ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
advertisement
মালিকানা বদলে লেনদেন ?
-----চন্দনার হোম বাঁচাতে ফেব্রুয়ারিতে আর্থিক সাহায্য জুহির
---- জুহি সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দেন চন্দনাকে
--- টাকা দেন জুহির জেঠু সুরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী
----জ্যাঠতুতো দাদা সুকান্ত চৌধুরীও টাকা ট্রান্সফার করেন
---আর্থিক লেনদেনে নাম জড়িয়েছে পরিবারের ঘনিষ্ঠ পাপিয়া চৌধুরীর
---তিনজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যায়
----তিনজনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে জলপাইগুড়ি আদালতে
---১৩ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা ট্রান্সফার হয়েছে
- টাকা জমা পড়ে চন্দনার ঘনিষ্ঠ ২ জনের অ্যাকাউন্টে
বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মুখ না খুললেও হোমের লাইসেন্স ছিল বলে দাবি চন্দনা চক্রবর্তীর।
শুক্রবার জুহি ও চন্দনাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন সিআইডি কর্তারা। সিআইডি সূত্রে খবর, দার্জিলিঙের DCPO মৃণাল ঘোষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডাকা হবে মৃণালের স্ত্রী জলপাইগুড়ির DCPO সস্মিতা ঘোষকেও।