উত্ওউত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার এবং লামডিং-এর বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারসহ ঊর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোর যাত্রীদের অন্যান্য কোচে খালি থাকা বার্থগুলোতে সাময়িকভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো বিচ্ছিন্ন করার পর লাইনচ্যুত ট্রেনটি ০৬:১১ মিনিটে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল থেকে রওনা করানো হয়। ট্রেনটি গুয়াহাটি পৌঁছানোর পর ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোর যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করা হবে এবং ট্রেনটি তার যাত্রা পুনরায় শুরু করবে।
advertisement
ঘটনাটি এমন একটি স্থানে ঘটেছে যা কোনো নির্দিষ্ট হাতি করিডোর নয়। লোকো পাইলট হাতির পাল দেখতে পেয়ে জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করেন। তবে হাতিগুলো ট্রেনের সাথে ধাক্কা খায়।
ওই সেকশন দিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেনগুলোকে আপ লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জন্য হাতির লাইন পারাপার একটি বড় সমস্যা, যা প্রায়শই ট্রেন চলাচলে বাধা দেয় এবং দুর্ঘটনার কারণ হয়, কারণ হাতিরা খাবারের খোঁজে বা করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত পথে যাতায়াত করে; যদিও রেল কর্তৃপক্ষ ‘ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম’, আন্ডারপাস নির্মাণ, এবং চালকদের সতর্কতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে, তবুও প্রায়শই দূর্ঘটনা ঘটে এবং এতে হাতি ও মানুষ উভয়েরই ক্ষতি হয়।
