সোমবার সকালেই মালদহ আদালতে আনা হয় পবিত্র রায়কে ৷ বিশাল পুলিশ ব্যারিকেটের মধ্যে দিয়ে আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় পবিত্রকে ৷ আদালতের রায় অনুযায়ী ৩ দিনের জেল হেফাজতে রাখা হল পবিত্র রায়কে ৷ আদালতেই গুলি চালানোর ঘটনার কথা নিজেই স্বীকার করেন তিনি ৷ পবিত্র রায়ের বিরুদ্ধে উঠেছে কিশোর খুনের অভিযোগ ৷
advertisement
রবিবার মালদহে ইংরেজ বাজারের অরবিন্দনগর এলাকায় তৃণমূল নেতা পবিত্র রায়ের গাড়ি ধাক্কা দেয় একটি টোটো ও একটি মটরবাইকে ৷ এলাকার উত্তেজিত জনতা গাড়িটিকে আটক করলে গাড়ি জানলা থেকেই বন্দুকের নল বের করে এলপাথাড়ি গুলি চালায় পবিত্র রায় ৷ তাঁর গুলিতে আহত হয় এলাকার দুই কিশোর অসীম মণ্ডল ও রাহুল পাসোয়ান ৷ হাসপাতালে দুই কিশোরকে ভর্তি করা হলে অসীমকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা ৷ এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে মালদহের ইংরেজবাজার এলাকা ৷ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ বসে থাকবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ হাসপাতালে চলে যান কৃষ্ণেন্দুবাবুও। সেখানে তিনিও বলেন, ‘‘কেউ পার পাবে না।’’ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পবিত্রবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে গাড়িটি কেউ ইংরেজবাজার থানা চত্বরে রেখে এসেছিল। নিহত দুই কিশোরেরই বাড়ি স্থানীয় কুলিপাড়ায়। দু’জনেরই বয়স ১৬। অসীম বিদ্যুৎ-মিস্ত্রির কাজ করত। তারা চার ভাই। বাবা দিনমজুর। রাহুল, তার বাবা অখিল পাসোয়ান, দাদা অর্জুন ও মা— সকলেই দিনমজুর। বাবা-মা এখন দিল্লিতে মেয়ের কাছে রয়েছেন। রাহুল ছিল দাদার বাড়িতে। গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনার পর কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছিলেন, রাহুলের চিকিৎসার সব দায় নেবে সরকার। যদিও তার আর প্রয়োজন পড়েনি। শেষমেশ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পবিত্র রায়ের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷