মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের কুড়িতম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় আলিপুরদুয়ারের। পাহাড়-জঙ্গল আর ভুটান সীমানা ছুঁয়ে থাকা জেলা আলিপুরদুয়ার। স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্তি ছিল, যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে, প্রশাসনিক কাজে দৌড়তে হত আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ি। তাই পৃথক জেলায় খুশি আলিপুরদুয়ারবাসী। শাসক দলের দাবি, জেলা হিসেবে ঘোষণার পর একাধিক প্রকল্পের কাজ চলছে আলিপুরদুয়ারে। তবে বিরোধীদের দাবি পরিকাঠামোই তৈরি হয়নি। উন্নয়নের ফাঁকা বুলি দিয়ে কিছু হবে না।
advertisement
একদা সবচেয়ে বড় মহকুমা এখন রাজ্যের বিশতম জেলা। মাদারিহাট-বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার-১, আলিপুরদুয়ার-২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম এই ছয়টা ব্লক নিয়ে তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা। ভোট প্রচারেও আসছে উন্নয়নের খতিয়ান। চালু হয়েছে জেলা হাসপাতাল, ফালাকাটায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, আলিপুরদুয়ার আইটিআই কলেজ, কালচিনি আইটিআই কলেজ, জয়ন্তী ও বক্সা পর্যটন কেন্দ্র, শহরে নতুন বাইপাস ও নতুন স্টেডিয়াম ৷
আলিপুদুয়ারে ৫ বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট ও কুমারগ্রাম বিধানসভার দখল নেয় আরএসপি। আলিপুরদুয়ারে জেতে কংগ্রেস। তৃণমূলের দখলে আসে ফালাকাটা ও কালচিনি। জোটের জটে এ কেন্দ্রে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেনি বিরোধীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস এবং বাম শরিক আরএসপি। তাই আসন্ন নির্বাচনে মূলত ত্রিমুখী লড়াই আলিপুরদুয়ারে।