#নয়াদিল্লি: দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকার বার্তা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পড়ুয়াদের। কোনও ছাত্র সংগঠনের পতাকার তলায় নয় ৷ আলাদাভাবেই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা জেএনইউ'র ঘটনার প্রতিবাদে সরব। আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা।
আগামী ১০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কিন্তু সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামছে। ক্যাম্পাসজুড়ে জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে পোস্টারিং করছে তারা। এর আগেও তারা আন্দোলন করেছে। ছাত্র রাজনীতিতে যা অন্যমাত্রা।
advertisement
সাধারণ পড়ুয়াদের এগিয়ে আসাকে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অধ্যাপকদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হল পড়ুয়াদের কাছে অত্যন্ত সুরক্ষিত জায়গা। আর সেখানেই ঢুকে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব। কীভাবে তা সম্ভব হল জেএনইউ'র মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে? প্রশ্ন তুলছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ঘটনার নিন্দা করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না ওরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশ অটুট রাখতেই সাধারণ পড়ুয়ারা আজ, মঙ্গলবার আন্দোলনে নামছেন।
অম্বিকা রাই, শ্রেয়শী রাইদের মতো সাধারণ পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে পোস্টারিংয়ে ব্যস্ত। গোটা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগে সাঁটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। অম্বিকা রাই জানান, কোনওভাবেই ঘটনাকে মেনে নেওয়া যায় না। মুখে কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসে ঢুকে দুষ্কৃতিদের হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শ্রেয়শী রাইয়েরও দাবী, ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। ছাত্রীরাই নিরাপদ নয় ক্যাম্পাসে। তাই তারা পথে নামছেন।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ও জেএনইউ'র পাশেই থাকছে। জেএনইউ'র প্রাক্তনীরা ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভিন্ন মতের ছাত্র রাজনীতি রয়েছে জেএনইউ'তে। বিভিন্ন ইস্যুতে তর্ক-বিতর্ক হয়েই থাকে। কিন্তু ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর হামলা মেনে নিতে পারছেন জেএনইউ'র প্রাক্তনী ইশা তিরকে, শোভনা খাতিরা। বর্তমানে দু'জনেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহ অধ্যাপিকা। ঘটনায় প্রাক্তনী হিসেবে তারা ব্যথিত। নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিৎ দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া। তাদের সময়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান।