তবে সময়সীমা অপরিবর্তিতই থাকছে। অর্থাৎ সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এনজেপি স্টেশন ছাড়বে ট্রেন। আবার আলিপুরদুয়ার থেকে ফিরে আসবে সন্ধ্যে ৭টায়। থাকছে ২টি ভিস্টাডোম কোচ, ২টি এসি চেয়ার কার এবং ২টি নন এসি চেয়ার কার। সবুজে ঘেরা উত্তরবঙ্গের বুক চিরে ছুটবে এই ট্রেন। জার্নিতে দেখা মিলবে উত্তরের পাহাড়, নদী, চা বাগান, জঙ্গল! এহেন প্রাকৃতিক অপরূপতায় মোড়া উত্তরবঙ্গ বরাবরই টানে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। প্রকৃতির প্রেমেই ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসেন উত্তরে। একটু স্বস্তির খোঁজে। অনাবিল আনন্দে কাটাতে।
advertisement
সামনেই বড়দিনের উৎসব এবং নতুন ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার পালা। সেই ছুটি কাটাতে ভিড় জমবে উত্তরে। তার আগে রেলের এহেন সিদ্ধান্তে খুশির আবহ পর্যটন মহলে! হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্র্যাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, "আমাদের দাবি মানায় রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভিস্টাডোম কোচের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিদিন ট্রেনটি চলায় পর্যটনের প্রসার বাড়বে। কি সুবিধে এই ভিস্টাডোম কোচে? অত্যাধুনিক রেলের এই কোচে বসেই উপভোগ করতে পারবেন উত্তরের পাহাড়ি সৌন্দর্য্য। পাহাড়, সুরঙ্গ, সবুজ চা গালিচা থেকে জঙ্গল। যাত্রাপথেই দেখা হয়ে যেতে পারে হাতি থেকে ময়ূর-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণের সঙ্গে। থাকছে সেল্ফি জোন থেকে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন- খুলেছে স্কুল! নির্দেশিকা মেনে জোরকদমে ক্লাস শুরু হল সংশোধনাগারের অন্দরেও
অত্যাধুনিক সিট ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে। যখন যে পাশে ইচ্ছে ঘুরিয়ে পর্যটকেরা চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবেন উত্তরের অপরূপ প্রকৃতি। আবার চারজন একসঙ্গে মুখোমুখি বসে গল্পও করতে পারবেন। এনজেপি থেকে ছেড়ে শিলিগুড়ি জংশন, সেবক, নিউ মাল, চালসা, মাদারিহাট, হাসিমারা, রাজাভাতখাওয়া হয়ে আলিপুরদুয়ার। ট্রেনের মধ্যেই মিলবে চা, স্ন্যাক্স, ব্রেকফাস্ট। তবে তার জন্যে গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা।
Partha Sarkar