অভিযোগ, ২০২৪ সালের উপনির্বাচনে এগিয়ে থাকা সাত চা বাগানেই শ্রমিকদের মজুরি মিলছে না৷ বান্দাপানি, হান্টাপাড়া, তুলসীপাড়া, গ্যারগান্ডা, বীরপাড়া, ডিমডিমা, ধুমচিপাড়া বাগানে মজুরি নিয়ে চলছে সমস্যা৷ এই সমস্ত চা বাগানগুলিতে সাধারণত দৈনিক ২৫০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়। সেই টাকাই মিলছে না গড়ে প্রায় দুই মাস হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: বসন্ত উৎসবে বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন
advertisement
এই সাত চা বাগান মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন৷ মাদারিহাট এক সময়ে ছিল আরএসপি-র শক্ত ঘাঁটি। সেই ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে প্রথম পদ্ম ফোটে। তারপর থেকে একচ্ছত্র আধিপত্য। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাদারিহাটে বিজেপির ভোটে অল্প অল্প করে থাবা বসাতে শুরু করে তৃণমূল। উপনির্বাচনে তা ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে ভিন্নসুর ছিল এই চা বলয়ে।
চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া থেকে শুরু করে, শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ক্রেশ তৈরি, চা শ্রমিকদের পিএফের জন্য আন্দোলনের মতো বিষয়গুলিও ঘাসফুলকে অক্সিজেন জুগিয়েছে। ডলোমাইট দূষণ থেকে রেলের ওভার ব্রিজ তৈরিতে রেলের গা ছাড়া মনোভাব নিয়েও তারা লাগাতার আন্দোলন করেছে। তা মাদারিহাটের মানুষের মধ্যে প্রভাবও ফেলেছে। তার প্রভাব পড়েছে ইভিএমে। এর পাশাপাশি ছিল শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরি দাবি। আর এই সব কারণের যোগফলেই প্রথমবার ঘাসফুল ফুটেছিল মাদারিহাটে।
২০১৪ সালের প্রবল ‘মোদি ঝড়ে’ও লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটি জিতেছিল তৃণমূল। তবে মাদারিহাট বিধানসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেই ট্রেন্ড ধরে রেখেই ২০১৬-র বিধানসভাটি জিতে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এর পর ২০১৯-এর লোকসভা, ২০২১-এর বিধানসভা ভোট, এমনকী, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও এখানে পদ্ম ফুটেছে।
মাদারিহাটের ২৪টি চা বাগানে ১০০টি বুথ রয়েছে। উপনির্বাচনের ফল বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস ৮১ বুথে, বিজেপি ১৯ বুথে জয় পেয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বলছে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে চা বাগানের ৩৫ হাজার ৩৩৮ ভোট। বিজেপি পেয়েছে চা বাগানের ২০ হাজার ৬০৫ ভোট। যদিও কয়েক মাস আগেই লোকসভা ভোটে এই ১০০ বুথের ৫৫টিতে জয় লাভ করেছিল বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস করেছিল ৪৫ আসনে জয়।