জানা গিয়েছে,শিলিগুড়ি সংলগ্ন এনজেপিতে এই শিকারিদের ডেরা। সেখান থেকেই চলত অপারেশন, জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জলাশয় থেকে পরিযায়ী পাখি মেরে পাচার করা হত। রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির মন্ডল ঘাট এলাকা থেকে ৪ শিকারিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন বন কর্মীরা। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ধৃতদের সোমবার আদালতে হাজির করেছে বন দফতর।
অন্যদিকে, দিন তিনেক আগেই ধূপগুড়ি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লী এলাকায় আচমকাই অনেক কুকুর ও পাখির মৃত্যু হতে থাকে! শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির সামনে একটি পাখি পড়ে থাকতে দেখেন। ক্রমশ বেলা বাড়তে থাকলে ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি মৃত পাখি উদ্ধার হয়। কিছু বাদেই পাড়ার মোড়ে একটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর এক এক করে চারটি কুকুরকে মৃত অবস্থা মেলে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কোনও অসাধু ব্যক্তি খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে কুকুর আর পাখি মেরেছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন ওই এলাকায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি কুকুরের দল রয়েছে। সকাল পর্যন্ত চারটি কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও আরও কুকুরের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা। তাঁরা কয়েকটি কুকুরকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা।
advertisement
Santanu Kar