আলিপুরদুয়ার: পথ চলতি মানুষের সচেতনতার জের! বড়সড় অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেল বক্সা টাইগার রিজার্ভের বনাঞ্চল। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গল এলাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন ওই পথে যাতায়াতকারীরা। মাঝের ডাবরি চাবাগান এলাকাতে দুই তিনটে জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন ক্রমাগত বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বক্সা টাইগার রিজার্ভের চেকো বিটের বনকর্মীরা। তারাই জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
advertisement
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে রাখা বর্জ্যতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ। বন দফতরের চেকো বিটের বিট অফিসার প্রসেঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, “বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বুনো জন্তু থেকে কীট পতঙ্গ ও নানান কীট পতঙ্গের ডিম পুড়ে নষ্ট হয়ে যেত। এমনিতেই শীতকালে আমরা বনাঞ্চলের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকি। যে কেউ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। পথ চলতিরা দেখে আমাদের খবর দেওয়ায় আমরা সময় মতো পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।”
জানা গিয়েছে, গদাই মাহাত নাকে একজন ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আগুন দেখে বন দফতরে ফোন করে খবর দেন। তার পরে বন দফতর গিয়ে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেয়। গদাই মাহাতো বলেন, “বনাঞ্চলে আগুন ধরে গেলে জীব বৈচিত্র্যের নানান ভাবে নানান ক্ষতি হয়। অসমের দিকে যেতে মাঝের ডাবরি চা বাগান এলাকার রাস্তার ডানদিকে কয়েকটি জায়গায় আমি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখি। দাঁড়িয়ে বন দফতরে খবর দেওয়া মাত্র বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।“
উল্লেখ্য, শীতের এই সময় বনাঞ্চলে আগুন ধরলে ময়ূরের ডিম সহ নানান কীট পতঙ্গ ও তাদের ডিম পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। মরে যায় শুকনো ঘাসে থাকা পিঁপড়ে, পোকা মাকর সহ অনেক জীব। সেই কারণে শীতকালে আগুন থেকে সাবধান থাকে বন দফতর। এদিন বক্সা টাইগার রিজার্ভের বনাঞ্চল অল্পের জন্য বড় সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
