গত বছর প্রথম ভল্লুক দেখাযায় জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের ইংডং চা-বাগান এলাকায়। এরপর ডুয়ার্সের মালবাজার, মাদারীহাট, বক্সা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। গত বছরই ভল্লুক - মানুষের সংঘাতে প্রাণ গেছে একজন মানুষ এবং একটি ভল্লুকেরও। পাশাপাশি ভল্লুকের আক্রমণে বেশ কিছু মানুষ ও আহত হয়েছেন। ডুয়ার্সের মালবাজার, ধূপগুড়ি, নাথুয়া এলাকায় দেখা মিলছে ভল্লুকের। বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধূপগুড়িতে ভল্লুক ধরাও পড়েছে। ডুয়ার্সের বনাঞ্চল এবং বন সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে ভল্লুকের আতঙ্ক পৌঁছে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর এবং মালবাজার শহরেও।মাল শহরে ভল্লুক পৌঁছে গিয়েছিল একটি ভবনে যেখানে অনুষ্ঠান লেগেই থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন - বাইকের পিছনে বসে ছিলেন স্ত্রী, স্বামীর ২ লক্ষ টাকা ছিনতাই হতেই, মোবাইলে পটাপট ছবি তুললেন, তারপর...
আরও পড়ুন - ১৫ মিনিটের লড়াকু ফুটবলে স্পেনের বিরুদ্ধে কামব্যাক জার্মানির, বিশ্বকাপে বেঁচে থাকল আশা
এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দিন কয়েক আগেই মেটেলি, মালবাজার, মাদারিহাট, সহ বেশ কয়েকটি চা-বাগানে দেখা মিলেছে ভল্লুকের। তার মধ্যে গত ১৫ দিনে ৬ টি ভাল্লুককে উদ্ধার করেছে বন দফতর। এর মধ্যে আটিয়াবাড়ি চা-বাগান থেকে একটি, লতাবাড়ি থেকে ৩ টি, মেন্দাবাড়ি বন বস্তি থেকে দুটি। এর মধ্যে দুটি ভাল্লুককে বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। বাকী চারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ডুয়ার্সের মালবাজারে এখনো বনকর্মীদের সাথে লুকোচুরি খেলছে ভল্লুক। ভল্লুকের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ভল্লুক গণনার সিন্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
এর জন্য রবিবার মূর্তির মূর্তি টেন্ট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবিরের পর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই গণনা শুরু হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানা যায়। গোটা ডুয়ার্সেই এই গণনা হবে। বিয়ার কোরাল পদ্ধতিতে এই গণনা করা হবে বলে জানা যায়। এই পদ্ধতিটি হল যে সমস্ত জায়গায় ভল্লুক দেখা গেছে সেই জায়গা গুলিতে খাঁচা পাতা হবে এবং সেখানে ভল্লুকের পছন্দের খাবার দেওয়া হবে, সেই খাবার খেতে এলেই ধরা পড়বে ভল্লুক। তাতেই ভল্লুকের সংখ্যা জানা যাবে। সংখ্যা নির্ণয়ের পর তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও বন দফতর সুত্রে জানা যায়।
যদিও এদিনের প্রশিক্ষনের বিষয়ে বনাধিকারিকরা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।
Rocky Chowdhary