বিধ্বস্ত এলাকা গুলিতে অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। যাদের ঘর বাড়ি নেই, তাদের জন্য কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাড়ি যাদের ভেঙেছে ন্যায্য তালিকা করে মুখ্য সচিবকে পাঠাবেন আমরা করে দেব।”
এরপরেই তিনি জানান, মূলত বাইরের রাজ্য এবং ভূটান থেকে জলের ছাড়ার ফলেই এই বিপর্যয়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ কেউ টুইট করেছেন, দোষ দিচ্ছি না তিনি না জেনে হয়ত করেছেন তাঁরা লিখেছেন, সেতু ভেঙে গেছে তাই মারা গেছে। এমনটা নয়। বিপুল জল ছেড়েছে। ভুটান থেকেও দেহ ভেসে আসছে। আমরা ওদের দেহ ফেরত দিয়ে দেব। ওরা আমাদের ওয়েদার রিপোর্ট দিয়েছে গত ৫ তারিখ। যদিও ৪ তারিখ থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ার! খোলা হল জেলার প্রথম ফ্লাড সেন্টার, কোথায় জানুন
এরপরেই তিনি বলেন, “এখন রাজনীতি ভুলে যান। যারা নিচু এলাকায় আছেন তাদের নিরাপদ জায়গায় আনুন। বাড়ি ঘর আমরা করব। মিরিকে আমরা বেইলি ব্রিজ করব। সব এক সঙ্গে হয় না।”
এরপরেই তিনি একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। তিনি বলেন, “মানুষ বিপদে পড়লে কৃতিত্ব নেওয়ার কিছু নেই। ভুলে যান কে কোন রাজনীতি করে। কারও প্ররোচনায় উত্তেজনায় পা দেবেন না। যে ঘটনা কাম্য নয় এমন করবেন না। যে যার মতো আসবে কাজ করবে, চলে যাবে। কাউকে আঘাত নয়। এটা নিয়ে রাজনীতি নয়।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বামনডাঙ্গায় বন্যা দুর্গত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হন শঙ্কর ঘোষ-সহ বিজেপি বিধায়করা। স্থানীয়দের আক্রমণের জেরে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মুর। শংকর ঘোষের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এছাড়াও জুতো দেখানো হয় বিজেপি নেতাদের ঘিরে। শুধু তাই নয়, শঙ্কর ঘোষের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।