দুর্গতদের একাংশের আক্ষেপ, “প্রতি বছর মা লক্ষ্মীকে আলপনা দিয়ে বরণ করতাম। এবারে ঘরই ভেসে গেছে, পুজো করব কীভাবে?” ঘরে জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে গৃহস্থালির সামগ্রী, গবাদি পশু থেকে শুরু করে পুজোর আসন পর্যন্ত সব তছনছ। হাতে টাকাপয়সা নেই, মনেও ক্লান্তি—সব মিলিয়ে উৎসবের আনন্দ উধাও।
advertisement
কেউ কেউ আবার জলমগ্ন ঘরে ফুলে জলে সামান্য পুজো সারার চেষ্টায় আছেন, যেন ভরসা থাকে দেবীই একদিন ফিরিয়ে দেবেন স্বস্তি। বিপাকে জলপাইগুড়ির প্রতিমা শিল্পী ও ব্যবসায়ীরাও। বাজারে প্রতিমা ও পুজোর উপকরণ সাজানো থাকলেও ক্রেতা নেই। তার উপর বন্যার জেরে ফলমূল ও ফুলের দামও চড়েছে, যা আরও বড় বোঝা দুর্গত পরিবারের জন্য।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে খানিকটা স্বস্তির খবর—ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠিতে জলঢাকা নদীর জলস্তর কিছুটা কমেছে, তিস্তায়ও নামছে জল। রবিবার সকাল থেকে সুকান্তনগর ও বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু ঘরময় কাদা, ভেজা দেওয়াল, আর ভেঙে পড়া জীবনযাত্রা—সব মিলিয়ে এবারের লক্ষ্মীপুজো যেন কেবলই এক স্মৃতি। দুর্যোগের ছায়ায় তাই প্রার্থনা একটাই—আগামী বছর আবার যেন আলপনায়, আলোয়, আর আশায় ফিরে আসে মা লক্ষ্মীর আগমন।