মালদহ, জিএম মোমিন: বাড়িতে ফেলে রাখা পুরনো হেলমেট হবে একেবারে নতুন। আর কিনতে হবে না হাজার হাজার টাকা দিয়ে, যে কোনও ভাঙা, ফাটা অবস্থায় থাকা হেলমেট সামান্য খরচ করলেই হবে নতুন। মালদহ শহরের রবীন্দ্র এভিনিউ এলাকায় মালদহ কলেজের কাছে এমনই এক দোকান করে হেলমেট মেরামতির কাজ করছেন শেখর কান্তি।
advertisement
প্রায় ২৫ বছর ধরে হেলমেট মেরামতের কাজ করছেন তিনি। মূলত মোটরবাইকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আবশ্যিক প্রয়োজন পড়ে হেলমেটের। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা দেয় নতুন হেলমেট কিনে ব্যবহারের পর কিছু দিনে অকেজো নষ্ট হলে ফেলে দেওয়া হয় বাড়িতে। মেরামতের উপায় না জানায় নতুন হেলমেট কিনতে হয় বাইক আরোহীদের। তবে এবারে ফেলে দেওয়া অকেজো নষ্ট অবস্থায় থাকা যে কোনও হেলমেট একেবারে নতুন হবে এই জায়গায় এলে। হেলমেটের ফোম, বেল্ট, গ্লাস, যান্ত্রিক ত্রুটি ইত্যাদি বিভিন্ন অংশ নতুন লাগিয়ে সরাই করা হয় হেলমেট।
আরও পড়ুন: পলাশের সঙ্গে কতটা গভীর ছিল সম্পর্ক? ঘনিষ্ঠ চ্যাট নিয়ে সব ফাঁস করলেন মেরি ডি’কোস্টা নিজেই
হেলমেট মেরামতকারী শেখর কান্তি জানান, “প্রায় ২৫ বছর থেকে এই হেলমেট মেরামতের কাজ করেন তিনি। সামান্য খরচে পুরনো কাটা ছেঁড়া হেলমেট নতুন করা দেওয়া হয়। ৫০ থেকে সাড়ে চারশো টাকার মধ্যে হেলমেট মেরামত করে দেওয়া হয়।” হেলমেট সরাই করাতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “হেলমেটের যে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে এখানে মেরামত করতে আসি। অচল অবস্থায় থাকা হেলমেট কেউ মেরামত করে দেন তিনি। সমস্ত কিছুই বদলে দিয়ে পুরনো হেলমেটকে একেবারে নতুন করে দেওয়া হয়।”
সড়কে সাবধানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাইক আরোহীদের অন্যতম সুরক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করে হেলমেট। শুধু ট্রাফিক বা শহর নয় গ্রাম্য এলাকায় রাস্তার উপর চলাচলের ক্ষেত্রেও হেলমেটের ব্যবহার প্রযোজ্য। সেই সঙ্গে যানবাহনের আইনি নিয়মাবলীতে হেলমেটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক।