উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে পুনর্বিকাশের কাজে ডিপার্চার টার্মিনাল বিল্ডিং-এর বিদ্যমান পরিকাঠামো ভেঙে ফেলার কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। ফাউন্ডেশনের জন্য খননের কাজও চলেছে। সেকেন্ডারি স্টেশন বিল্ডিং-এর ফাউন্ডেশন ও রুফ স্ল্যাব পর্যন্ত কোলাম আপ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং রুফ স্ল্যাবের জন্য শাটারিং-এর কাজ চলছে। অ্যারাইভাল-১ টার্মিনাল বিল্ডিঙের দ্বিতীয় তল পর্যন্ত ফাউন্ডেশন ও পরিকাঠামোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বারান্দার স্তর পর্যন্ত কোলাম তৈরির কাজ চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন– ভাইজির সঙ্গে মুকেশ আম্বানির বাড়ির গণেশ পুজোয় শামিল সলমন খানও
অন্যদিকে পার্সেল ও আরএমএস বিল্ডিঙের ফাউন্ডেশন ও পরিকাঠামোর কাজ প্রথম তল পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে এবং রুফ স্ল্যাবের জন্য শাটারিং-এর কাজ চলছে। নতুন প্ল্যাটফর্মের জন্য মাটি ভর্তি করা ও সংকোচনের কাজ চলছে। সিওপি-এর জন্য পরিকাঠামোমূলক ড্রয়িং প্রস্তুতি পর্বে রয়েছে। পার্সেল ও আরএমএস বিল্ডিঙের নিকটে এলিভেটেড রোডে পাইলিঙের কাজের জন্য ব্যারিকেডিং শুরু হয়েছে এবং পাইলিং শীঘ্রই শুরু করা হবে।
সাইট অফিস, কনফারেন্স রুম ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে এবং ইউটিএস, পিআরএস, এমসিও নতুন স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ডিপার্চার টার্মিনাল, পোডিয়াম পার্কিং, ড্রপ অফ ক্যানোপি-এর জন্য আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্টেশনটিতে অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা-সহ একটি বিশাল রুফ প্লাজা থাকবে। ওয়েটিং লাউঞ্জ, ক্যাফেটারিয়া, লিফট-এসকেলেটর ও পোডিয়াম পার্কিং-এর ব্যবস্থাও এখানে করা হবে। এর পাশাপাশি, সমগ্র স্টেশনটি প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুকূলভাবে তৈরি করা হবে, যার অধীনে স্টেশনটিতে সমস্ত প্রতিবন্ধী অনুকূল সুবিধা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন– পদ্ম শিবিরে শোরগোল, বিজেপি রাজ্য অফিসে ‘ঘরছাড়া’ দিলীপ-রাহুল! বিস্ফোরক চিঠি নাড্ডাকে
যাত্রীদের সুগম চলাচলের জন্য আগমন ও প্রস্থানের সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য স্টেশনটিকে গ্রিন বিল্ডিং হিসেবে বিকশিত করা হবে এবং সৌর শক্তির ব্যবস্থা ও জল সংরক্ষণ পদ্ধতিও এখানে স্থাপন করা হবে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্যতম একটি বৃহৎ ও ব্যস্ত একটি রেলওয়ে স্টেশন, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে চলেছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পুনর্বিকাশের ফলে শুধুমাত্র যাত্রীদের বিশ্বমানের সুবিধাই প্রদান করা হবে না বরং তার পাশাপাশি স্টেশনটির পুনর্বিকাশের ফলে এই অঞ্চলের পর্যটন ও শিল্পকেও বিকশিত করবে।