বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুলিশের আধিকারীকদের সঙ্গে বৈঠক করেন চিকিৎসক এবং অ্যসোসিয়েশন অফ ল্যাবটরি কনসার্লটেন্ট নর্থবেঙ্গলের কর্তারা। তাদের দাবি, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। কোনও স্যাম্পল কাকেক্টর নয়, সরাসরি ল্যাবের আধিকারীকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কেননা শহরে এমন ল্যাবের কোভিডের আরটিপিসিআর রিপোর্ট মিলেছে যার কোনও অস্তিত্ব নেই।
advertisement
সমস্যার সমাধানে অত্যাধুনিক "অ্যাপ" চালু করতে উদ্যোগী তারা। যা শীঘ্রই চালু করা হবে। তাহলে সাধারণ মানুষ ওই "এপের" মাধ্যমে কোভিডের টেস্ট করাতে পারবে। আগামী ১লা জুলাই ডক্টর্স ডে'তেই এই নয়া "অ্যাপ" আসতে পারে। মোবাইল ফোনে অনায়াসেই "অ্যাপের" মাধ্যমে সঠিক ল্যাবে নমুনা বা সোয়াব যাচ্ছে কীনা তা সহজেই জানতে পারা যাবে।
ইতিমধ্যেই এই ভুঁয়ো রিপোর্ট কাণ্ডে একজন গ্রেফতার হয়েছে। অনেকেই ভুল কোভিড রিপোর্ট পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন। নতুন করে যাতে আর কেউ এর শিকার না হয়, সেজন্য সজাগ চিকিৎসক এবং ল্যাব টেকনিশিয়ানরাও।
এদিন বৈঠকের পর শিলিগুড়ি পুলিশের জোন টু'র ডিসিপি কুনওয়ার ভূষণ সিং জানান, আইসিএমআরের রেজিস্টার্ড ল্যাব থেকে টেস্ট করাতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে শহরে শিবির করা হবে। যাতে আর প্রতারণার শিকার হতে না হয়। চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়েই যৌথভাবে হবে এই সচেতনতা শিবির। তিনি এও জানান, এই ভুঁয়ো কোভিড রিপোর্ট কাণ্ডের তদন্ত চলছে। ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে গ্রেফতার করা হবে। ধৃত যুবককে গ্রেফতার করে কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ।