দশমীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে আচমকা জলের স্তর বেড়ে যাওয়ায় ভেসে যান বহু মানুষ। সারা রাত ধরে চলবে উদ্ধারকাজ। এখনও অনেকেই নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা আপাতত ৭।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ হড়পা বান মাল নদীতে! বিসর্জন চলাকালীন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! বহু মৃত্যুর আশংকা
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে বিসর্জন দিতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন বহু! মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে
advertisement
সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেই মোদি ট্যুইট করলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে দুর্গাপুজো উৎসবের সময় দুর্ঘটনার খবরে দুঃখিত। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।'
শুভেন্দু ট্যুইট করেছেন, 'জলপাইগুড়ি থেকে দুঃখজনক খবর পেলাম। দুর্গা প্রতিমা ভাসানের সময়ে হড়পা বানে অনেক মানুষ তলিয়ে গিয়েছেন। কয়েক জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক এবং মুখ্যসচিবকে অনুরোধ জানিয়েছি যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা হয় এবং যাঁরা বিপদে আছেন, তাঁদের সাহায্য করা হয়।'
জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের মাল নদী থেকে যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের কয়েক জন আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। ১১ জনের বেশি। তেমনটাই জানালেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
যে মর্মান্তিক দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কার্যত খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। উৎসবের শেষ বেলায় যা দেখে শিউরে উঠতে হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মালবাজার শহর এবং চা বাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ মাল নদীতে ভিড় করেন। একাধিক প্রতিমা নিরঞ্জন হচ্ছিল সেখানে। প্রশাসনের তরফে ক্রমাগত মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাড়ি ফেরার অনুরোধ জানানো হয়েছে মাইকে। এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ। রাতের দিকে জল খানিক কমে আসার ফলে উদ্ধারকার্য সহজ হয়েছে।