রায়গঞ্জের বাসিন্দা, পেশায় স্কুল শিক্ষক, বছর আটত্রিশের রাজকুমার রায়
প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ভোটের কাজ গিয়েছিলেন ইটাহারের সোনাপুর বিদ্যালয়ে।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার ভোট শেষ হয়ে গেলেও রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরদিন রাতে, রায়গঞ্জ এবং বামনগ্রাম স্টেশনের মাঝে প্রিসাইডিং অফিসারের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ। কিন্তু, এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে।
advertisement
তদন্তকারীর অবশ্য নিশ্চিত, ট্রেনের ধাক্কাতেই প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। কারণ, রাধিকাপুর প্যাসেঞ্জারের চালক লিখিতভাবে জিআরপিকে জানিয়েছেন, বাঙালবাড়ি-রায়গঞ্জের মাঝে এক ব্যক্তি হঠাৎই ট্রেনের সামনে চলে এলে ধাক্কা লাগে।
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় দিনেও বলি ১, পঞ্চায়েত ভোটে বিক্ষিপ্ত হিংসা-ছাপ্পা ভোট-ব্যালট লুঠ
রিটার্নিং অফিসার হিসেবে বিডিও মঙ্গলবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভোটের দিন, অর্থাৎ, সোমবার রাত ৮টা থেকে সোনাপুর স্কুলের প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় নিখোঁজ। একই তথ্য দিচ্ছেন ওইদিন ওই বুথে তাঁর সহকর্মীরাও।
মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাতে জানা গিয়েছে, ভোটের পর দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর তিনটে চব্বিশে রায়গঞ্জের কলেজপাড়ায় ছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়।
মৃতদেহের পাশে মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্রও মিলেছে। খুনের ঘটনায় যা অস্বাভাবিক, তাই এমন তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীর নিশ্চিত, ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের।