TRENDING:

Murshidabad News: রক্তারক্তি কাণ্ড! হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকেই একের পর এক কোপ, তারপর...

Last Updated:

সেই চিৎকার চেঁচামেচির মাঝেই বাড়িতে রাখা একটি হাঁসুয়া নিয়ে বাবার উপরে চড়াও হয় ছেলে। তারপরেই কোপ। সঙ্গে সঙ্গে রক্তারক্তি কাণ্ড। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবদুল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ: বাড়ি বিক্রি নিয়ে প্রায়শই বাবার সঙ্গে খিটিমিট লাগত ছেলের। কিন্তু সেই আক্রোশ যে এমন ভয়ঙ্কর রূপ নেবে, তা ভেবে উঠতে পারেননি কেউ-ই। সামান্য বচসা থেকে কথা কাটাকাটি। আর তার মধ্যেঅ রাগের মাথায় বাবার উপরে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দিল ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সামশেরগঞ্জ থানার সুলিতলা গ্রামে। ঘটনায় আহত আরও ৪।
advertisement

কিছুদিন আগেই নিজেদের বসতবাড়িটি অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বছর বাষট্টির আবদুল সাত্তার নামের ওই ব্যাক্তি। বাড়ি বিক্রির টাকা তিন ছেলের মধ্যে সমান ভাগে ভাগও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাবার এই বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ছেলে মোশারফ হোসেন। প্রায়শই এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।

advertisement

আরও পড়ুনঃ মহা শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে উপচে পড়বে ভিড়, আপনিও সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতেই পারেন

বৃহস্পতিবার সকালেও এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর সময় তা পৌঁছে যায় চরম সীমায়। সেই চিৎকার চেঁচামেচির মাঝেই বাড়িতে রাখা একটি হাঁসুয়া নিয়ে বাবার উপরে চড়াও হয় ছেলে। তারপরেই কোপ। সঙ্গে সঙ্গে রক্তারক্তি কাণ্ড। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবদুল।

advertisement

আরও পড়ুনঃ নামমাত্র টাকা ব্যয়ে চাষ, ঘরে আসছে হাজার হাজার টাকা! নয়া 'এই' চাষই পথ দেখাচ্ছে

এরপরেই মোশারফে দিকে ছুটে আসে আবদুলের তিন মেয়ে ও অন্য ছেলেরা। শুরু হয় হাতাহাতি। তাতে ৪ জন আহত হয়। পরিবারের লোকেরা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল সাত্তারকে উদ্ধার করে অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আহতদের। পুলিশ আবদুলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

মৃতের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, "বাবা বাড়ি বিক্রি করে সবাইকেই টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি বিক্রি নিয়ে দাদার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত। আমার অনেক আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম। দাদা যে বাবাকে এইভাবে খুন করে দেবে কল্পনাও করিনি।" মৃতের স্ত্রী মুসারা বিবি বলেন, "বাড়ি বিক্রি নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে রোজই অশান্তি হত। ছেলে কিছুতেই বাড়ি ছাড়তে চাইছিল না। ওর বাবা বলেছিল ওকে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে দেবে। কিন্তু ও তাতেও রাজি হয়নি। আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই।"

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Murshidabad News: রক্তারক্তি কাণ্ড! হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকেই একের পর এক কোপ, তারপর...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল