কিছুদিন আগেই নিজেদের বসতবাড়িটি অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বছর বাষট্টির আবদুল সাত্তার নামের ওই ব্যাক্তি। বাড়ি বিক্রির টাকা তিন ছেলের মধ্যে সমান ভাগে ভাগও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাবার এই বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ছেলে মোশারফ হোসেন। প্রায়শই এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মহা শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে উপচে পড়বে ভিড়, আপনিও সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতেই পারেন
বৃহস্পতিবার সকালেও এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর সময় তা পৌঁছে যায় চরম সীমায়। সেই চিৎকার চেঁচামেচির মাঝেই বাড়িতে রাখা একটি হাঁসুয়া নিয়ে বাবার উপরে চড়াও হয় ছেলে। তারপরেই কোপ। সঙ্গে সঙ্গে রক্তারক্তি কাণ্ড। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবদুল।
আরও পড়ুনঃ নামমাত্র টাকা ব্যয়ে চাষ, ঘরে আসছে হাজার হাজার টাকা! নয়া 'এই' চাষই পথ দেখাচ্ছে
এরপরেই মোশারফে দিকে ছুটে আসে আবদুলের তিন মেয়ে ও অন্য ছেলেরা। শুরু হয় হাতাহাতি। তাতে ৪ জন আহত হয়। পরিবারের লোকেরা রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল সাত্তারকে উদ্ধার করে অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আহতদের। পুলিশ আবদুলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
মৃতের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, "বাবা বাড়ি বিক্রি করে সবাইকেই টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি বিক্রি নিয়ে দাদার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত। আমার অনেক আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম। দাদা যে বাবাকে এইভাবে খুন করে দেবে কল্পনাও করিনি।" মৃতের স্ত্রী মুসারা বিবি বলেন, "বাড়ি বিক্রি নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে রোজই অশান্তি হত। ছেলে কিছুতেই বাড়ি ছাড়তে চাইছিল না। ওর বাবা বলেছিল ওকে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে দেবে। কিন্তু ও তাতেও রাজি হয়নি। আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই।"