জানাজানি হতেই ফের মায়ের কাছে সেই শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় জড়িয়েছে এক তৃণমূল নেতার নাম। স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতা শিশু বিক্রির টাকা মায়ের কাছ থেকে ফেরত নিলেও তার সবটুকু ব্যবসায়ীকে ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। যদিও বেকায়দায় পড়ে শিশু কেনার কথা অস্বীকার করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ গুঞ্জনে চটে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন, এবার কি ক্ষমা চাইলেন তিশা!
জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়িতে রয়েছে এক বছরের শিশু সন্তান। ১৮ দিন আগে ফের এক শিশু সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু, সদ্যোজাতকে কীভাবে পালন করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। এলাকারই এক ব্যবসায়ীর মেয়ে থাকলেও পুত্র সন্তান নেই। এরপর গোপনে লক্ষাধিক টাকায় শিশু সন্তানকে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু লক্ষাধিক টাকা ফেরত নিলেও তার সব টাকা ব্যবসায়ীকে ওই নেতা দেননি বলে অভিযোগ।
ওই নেতার অবশ্য দাবি, কালিমালিপ্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে। ঘটনা জানতে পেরে শিশুটিকে মায়ের কাছে শুধু ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টাকার কোনও লেনদেন নেই।
যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কেন অভাবের তাড়নায় রাজ্যে শিশু বিক্রির মতো ঘটনা হবে, শিশু বিক্রিতেও কাটমানির লেনদেনে কীভাবে যুক্ত তৃণমূল, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।
এদিকে সদ্যোজাত বিক্রিতে অভিযুক্ত মায়ের দাবি, নিজেদের খাবার জোটে না। স্বামী টাকা পাঠাতেন না। তাই সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবতে হয়েছে। তবে সন্তান কোলে ফিরে আশায় তিনি খুশি। এদিকে শিশু বিক্রির খবর পেয়ে রবিবার বিকেলে অভাবী মায়ের সঙ্গে দেখা করেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল। ওই পরিবারের সমস্যার কথা জেনে খাবার ও জামাকাপড় তুলে দেন তিনি। ওই পরিবারকে অর্থ সাহায্য এবং নিয়মিত খাবারের জোগানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে ব্লক প্রশাসন।
আশ্বস্ত মা অবশ্য জানান, এরপর আর শিশু বিক্রির কথা ভাববেন না তিনি। বরং সকলের সহযোগিতা পেলে শিশুকে নিজের কাছে রেখেই বড় করে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।