তেসিমলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এই যুবকও মাল নদীর ধারে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলেন। হঠাৎই হড়পা বানে চোখের সামনে মানুষগুলোকে ভেসে যেতে দেখে নিজের জীবনের তোয়াক্কা করেননি তিনি। সোজা ঝাঁপ মারেন জলের স্রোতে। মহম্মদ মানিক জানান, প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে মালবাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। অনেকে ভেসে যাচ্ছেন দেখে নিজের মোবাইল ফোনটা এক বন্ধুর হাতে দিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। প্রায় ১০ জনকে উদ্ধার করেন তিনি। উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর পায়ের আঙুলও কেটে যায়। এরপরই দমকল কর্মীরা তাকে মাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: দশমীতে ভয়ানক দুর্ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, মালবাজার দিয়েই সূচনা
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন মানিক নায়ক। মানিক জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন। তার সাহসিকতার কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ''আগামী দিনেও কেউ বিপদে পড়লে আমি এভাবেই কাজ করব।''
আরও পড়ুন: 'জল বাড়ছে’ আর্ত চিৎকারে শুনেই নদীতে ঝাঁপ, ১২ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে মালবাজারে নায়ক মামা-ভাগ্নে
ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। আর সেই বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ সেদিন এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। হঠাৎই হড়পা বান আসে সে নদীতে। এরপরই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষগুলোকে। মৃত্যুকে চোখের এতটা সামনে থেকে চাক্ষুষ করে কেউ কেউ আবার ভীত, কুঁকড়ে গিয়েছেন ভয়ে।