কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা। যাতায়াতের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দার্জিলিং মেল। সাধারণ মানুষের সঙ্গেই এই ট্রেনে যাতায়াত করেন ভিআইপিরাও। এই দার্জিলিং মেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্নের মুখে রেল। গত এক মাসে দার্জিলিং মেলের এসি টু টিয়ার থেকে চুরি গিয়েছে একান্নটি মোবাইল ফোন। স্লিপার ও অন্যান্য শ্রেণি মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় একশোর কাছাকাছি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফেরার সময় চুরি যায় মেয়র ও বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের মোবাইল। শুধু দার্জিলিং মেলই নয়, গত বছরের তিরিশে নভেম্বর গৌড় এক্সপ্রেস থেকে চুরি যায় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বাম নেতা বিশ্বনাথ চৌধুরীর মোবাইলও।
advertisement
উধাও হচ্ছে মোবাইল
-------------------------
- দার্জিলিং মেল মূলত রাতের ট্রেন
- কলকাতা বা নিউ জলপাইগুড়িতে সকালে পৌঁছয়
- অভিযোগকারীদের দাবি, মাঝরাতের পর থেকেই উধাও মোবাইল
- রাতে হকারদের আনাগোনা থাকে না
- ট্রেনের নিরাপ্তার দায়িত্বে ১ জিআরপি ইনচার্জ, ১০ জিআরপি কনস্টেবল, আরপিএফ
- ভিআইপিদের ক্ষেত্রে দেহরক্ষীও থাকেন
- এঁদের নজর এড়িয়ে কী করে চুরি যাচ্ছে মোবাইল?
দার্জিলিং মেলে একের পর এক মোবাইল চুরির ঘটনায় রীতিমতো চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী এই ট্রেন থেকেই চুরি গিয়েছে পূর্ব রেলের সিপিআরও রবি মহাপাত্রের মোবাইলও। মোবাইল চুরি রুখতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
চুরি রুখতে পদক্ষেপ
-------------------
- এসি কোচগুলিতে সিসিটিভি বসানোর ভাবনা
- ফার্স্ট ক্লাস বা এসি কোচে কোনও হকার উঠবে না
- সেক্ষেত্রে খাবারের প্রয়োজন হলে প্যানট্রিকার চালু হতে পারে
- এসি কোচগুলির জন্য আলাদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা
দার্জিলিং মেল হোক বা গৌড় এক্সপ্রেস। ভিআইপি বা সাধারণ মানুষ। প্রত্যেক যাত্রীই চাইছেন, এই সমস্যার সমাধান হোক। যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে উদ্যোগী রেল কর্তৃপক্ষও। আপাতত ধুরন্ধর মোবাইল চোরের খোঁজে হন্যে হয়ে খোঁজ শুরু করেছে রেল।