এদিন বিকালে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ফুলবাড়ির শ্রীনগর কলোনিতে প্রচার শুরু করেন তিনি। লিখলেন নিজের নামের সমর্থনের দেওয়ালও। কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে দেখা গেল তুমুল উচ্ছ্বাস। নাম ঘোষণার পরই তাঁর বাড়িতে ছুটে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান দলের বিভিন্ন শাখার কর্মী, নেতারা। সঙ্গে হাতে তুলে দেন পুষ্পস্তবক। ফেসবুকেও তাঁর সমর্থনে প্রচারের ঝড় তুলেছেন দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা। ২০১১ থেকে এই আসনেই লড়ছেন তিনি। দু'দুবার জিতেছেন বড় ব্যবধানে। প্রথমবার জিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৬-তেও জয়ী হন। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব। এবারে সামনে হ্যাট্রিকের হাতছানি।
advertisement
লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের। তা কাটিয়ে উঠবেন তিনি, আশাবাদী গৌতম দেব। লকডাউনের সময়ে নিজের এলাকায় কাজ করে গিয়েছেন। মানুষের পাশেই ছিলেন। ফের তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর তিনি বলেন, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি তো আমার বাড়ি। নিজের এলাকা। প্রতিটি মানুষ ভালোবাসে আমায়। আমিও ওদের পাশেই রয়েছি। অনেক কাজ হয়েছে। এবারে আশীর্বাদ পেলে আরও কাজ হবে। দিন দুয়েক আগেই এই কেন্দ্রেই "ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই" বলে ফ্লেক্স পড়ে। যাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গৌতম দেব বলেন, "এসবই উপভোগ করছি। ভোট হবে উৎসবের মেজাজে।"
এদিনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলছিল তৃতীয়বার জয়ের ব্যাপারে যথেষ্টই আশাবাদী গৌতম দেব। যদিও এই কেন্দ্রে এখনও বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। তার আগে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা গোটা নির্বাচনী এলাকা জুড়ে প্রচারের ঝড় তুলতে চান। ইতিমধ্যেই নিজের নির্বাচনী এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন গৌতম দেব। সেখান থেকেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন। লাগোয়া তিন কেন্দ্র শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়ায় অন্য দল থেকে আসাদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সেখানে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে গৌতমেই আস্থা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(পার্থ প্রতীম সরকার)