TRENDING:

‘এ দল আর নেত্রীর হাতে নেই, এই দল আমার নয়’, ফেসবুক পোস্টে বোমা তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর

Last Updated:

অন্যায় সব কিছু মেনে নিয়ে ‘জো হুজুর’ করে টিকে থাকতে পারলে থাকো, নয়ত তফাৎ যাও।’ দল এখন এই নীতিতেই চলে. বলে অভিযোগ করেছেন মিহির গোস্বামী

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কোচবিহার: একুশে অগ্নিপরীক্ষা ৷ যত এগোচ্ছে ভোট, ততই যেন একের পর এক ঝামেলা ও অস্বস্তিতে জড়িয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৷ ঘরের অন্দরেই বিদ্রোহ একের পর এক তৃণমূল নেতা-বিধায়কের ৷ কোনও লুকোছাপা নয়, এবার সরাসরি ফেসবুককে হাতিয়ার করে বোমা ফাটালেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী ৷ সরাসরি লিখলেন, এই দল আর নেত্রীর কথায় চলে না ৷ একইসঙ্গে দল ছাড়ারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন পোস্টে ৷ লিখেছেন, ‘আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, অর্থাৎ এই দল আর আমার নয়, হতে পারে না। শ্যামা মায়ের আরাধনালগ্নে আমার এই অনুমান আরও দৃঢ় হয়েছে। তাই এই দলের সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করাটাই কি স্বাভাবিক নয়’?
advertisement

একের পর এক নেতার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ৷ সেই দ্বন্দ্বের আঁচে সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ দলের সঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সমস্ত সমস্যা এবার প্রকাশ্যে ৷ চুড়ান্ত অসম্মানিত হয়েছেন দলে, এই অভিযোগেই সরব বিধায়ক মিহির গোস্বামীর ৷ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দলের ভেতর অজস্র অপমান অবমাননা ক্রমাগত সহ্য করে গিয়েছি অকারণে, চুপ করে থাকার জন্য শুভানুধ্যায়ীরাও বিরক্ত হয়েছেন বার বার। কিন্তু আমার উত্তর একটাই ছিল, দিদি! যার উপর বিশ্বাস-আস্থাতেই এতদিন টিকে ছিলাম। কিন্তু ১৯৮৯ সাল থেকে তাঁর নেতৃত্ব মেনে দীর্ঘ তিরিশ বছর অতিক্রম করার পর হঠাৎ বোধগম্য হয়েছে, এ দল এখন আর আমার দিদি-র দল নয়, দিদি এখানে নিস্পৃহ। তাই ‘দিদির লোক’ এখানে অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন। অন্যায় সব কিছু মেনে নিয়ে ‘জো হুজুর’ করে টিকে থাকতে পারলে থাকো, নয়ত তফাৎ যাও।’

advertisement

এখানেই শেষ নয়, মিহির গোস্বামীর অভিযোগ, এতদিন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে থাকার পর সংগঠন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও নেত্রীর তরফ থেকে কোনও ফোন আসেনি ৷ ফেসবুকে সেই ক্ষোভ উগরে তিনি লিখেছেন, সংগঠন থেকে আমার অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা করার পর ছয় সপ্তাহ কেটে গেছে। এই বিয়াল্লিশ দিনে আমি সব দলের কাছ থেকে এক বা একাধিক ফোন কল পেয়েছি, কথা বলেছি। বহু পুরনো রাজনৈতিক বন্ধুর ফোন পেয়েছি রাজ্যের বাইরে থেকেও। কেউ অফার দিয়েছেন, কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, কেউ শুধু ভালবাসা দিয়েছেন। সতীর্থ অনেক সহকর্মী নেতার ফোন এসেছে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে, কলকাতা থেকে, সবার ফোন ধরা হয়ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু গত ছয় সপ্তাহে খোদ নেত্রীর কাছ থেকে কোনও ফোন আসেনি। কোনও বরখাস্তনামা কিংবা বহিষ্কারের নির্দেশও আসেনি তাঁর কাছ থেকে।’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সুন্দরবনে বাঘের দৌরাত্ম্য কমছে! তবে পর্যটকদের দর্শন দিচ্ছে দক্ষিণরায়, পিছনে বড় কারণ
আরও দেখুন

যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন, মিহির গোস্বামী মমতার ফোন ধরেননি ৷ আমরা সকলে মমতার পাশে রয়েছি ৷ আলোচনা করে সমস্যা মেটাব ৷’ উল্লেখ্য, মিহির গোস্বামীর পর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াও। তাঁর ইঙ্গিতে স্পষ্ট উত্তরের জেলায় ভাঙনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস।

advertisement

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
‘এ দল আর নেত্রীর হাতে নেই, এই দল আমার নয়’, ফেসবুক পোস্টে বোমা তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল