কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহে তৈরি হয়েছে এই গাছবাড়ি। এই গ্রামের অধিকাংশই পেটের টানে ভিন রাজ্যে যান প্রতিবছর। করোনা মোকাবিলায় সরকারি বিধি লাগু হওয়ার পর এখন তারা ফিরছেন গ্রামে। দিল্লী, মহারাষ্ট্র রাজস্থানে দিনমজুরির কাজ থেকে গ্রামে আসা বাসিন্দাদের জন্য গ্রাম থেকে সামাজিক দুরত্ব মেনে ফাকা জায়গায় এই গাছবাড়ি তৈরি করেছেন গ্রামবাসীরাই। গ্রামে ফিরে কারও মধ্যে এধরনের লক্ষণ দেখা গেলে তাঁকে ১৪ দিন থাকতে হবে এই গাছ বাড়িতেই। রাত কাটাতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তাই মশারি ও আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে৷ গ্রামের একটি বড় অর্জুন গাছের গোড়ায় বানানো হয়েছে এই গাছবাড়িটি।
advertisement
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এরকমই এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সেবার পেটের টানে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়া পুরুলিয়ার সাত যুবক করোনার দাপট বাড়তে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু মাটির বাড়িতে অতিরিক্ত ঘর তো নেই। তাহলে ভিনরাজ্য থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য গাছের দ্যালে মাচা বেঁধে থাকতে শুরু করেন। সাতজনের বাড়ির কাছে গাছের ডালে মাচা খাটিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানীয়ে ফেলেন তাঁরা। হোম কোয়ারেন্টাইনের বদলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘ট্রি কোয়ারেন্টাইন’ রয়েছেন পুরুলিয়ার সাত যুবক। অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলমহলের সাত যুবকের নজিরবিহীন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারাও। এবারে সেরকমই উদ্যোগ নিতে দেখা গেল কোচবিহারের গ্রামে।
