TRENDING:

মেয়ের বিয়ের দিন, বাড়িতে ফিরল বাবার কফিনবন্দি দেহ! মর্মান্তিক ঘটনা

Last Updated:

Maldah migrant labour died: পঞ্জাব পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। বুধবার সকালে আজিজুলের কফিনবন্দি দেহ গ্রামের বাড়িতে ফেরে। জানা গিয়েছে, পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত। আর্থিক দুর্দশা লাঘবের জন্য ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন আজিজুল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: যেদিন কথা ছিল মেয়ের বিয়ে হওয়ার, সেদিনই বাড়িতে ফিরল ভিন রাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিক বাবার দেহ। বাবা এলেন ঠিকই। কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন। কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার-সহ গোটা গ্রাম।
advertisement

ফের ভিনরাজ্যে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। এবার পঞ্জাবে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের (৪৫)।

পঞ্জাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আজিজুল। গত সোমবার কর্মস্থল থেকে মোটরবাইক নিয়ে নিজের অস্থায়ী বাসস্থানে ফিরছিলেন। সেই সময় পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- আর ট্রেন যাত্রায় নেই শৌচালয়ে গন্ধের ভয়! আসছে ‘গন্ধভেদ’, কী ভাবে ব্যবহার করবেন

advertisement

পঞ্জাব পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। বুধবার সকালে আজিজুলের কফিনবন্দি দেহ গ্রামের বাড়িতে ফেরে। জানা গিয়েছে, পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত। আর্থিক দুর্দশা লাঘবের জন্য ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন আজিজুল।

প্রতিদিনই বাড়িতে যোগাযোগ করে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাার খোঁজখবর নিতেন তিনি। বাড়তি পরিশ্রম করে বাড়তি কিছু রোজগারও করেছিলেন। কিন্তু এক লহমায় সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। এমনকী দেহ আনার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রতিবেশীরাই চাঁদা তুলে জোগাড় করেন।

advertisement

আজিজুলের পরিবারে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। এর মধ্যে এক মেয়ের বিয়ের কথা ছিল এদিন। তাই আজিজুলেরও বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের বাবা এই ভাবে ফিরবেন ভাবতে পারেনি ছেলে মেয়েরাও। শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

আরও পড়ুন- এবার উত্তরবঙ্গে বড় দুর্যোগ! কাল থেকে ভাসবে এই পাঁচ জেলা

advertisement

এদিন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন। তিনি একইসঙ্গে শাসকদলের ব্লক সভাপতি। পরিবারকে সমবেদনা জানাতে হাজির হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরাও।

সরকারিভাবে ওই পরিবারকে দ্রুত ২ লক্ষ টাকা সাহায্য-সহ অন্য সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পরিবারকে সমবেদনা জানালেও পরিযায়ীর আকস্মিক মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান নেই বলেই ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি বলে অভিযোগ বিজেপির।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
মেয়ের বিয়ের দিন, বাড়িতে ফিরল বাবার কফিনবন্দি দেহ! মর্মান্তিক ঘটনা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল