এখনও ঠিকমতো কথা ফোটেনি ময়ূখের ৷ তবে, সাধারণ জ্ঞানের খুঁটিনাটি তার ঠোটস্থ। এই বিস্ময় শিশুকে দেখতেই এখন চোপড়ার দাসপাড়ায় রাজু বর্মণের বাড়িতে ভিড়। একুশ মাসের শিশুই অনায়াসে বলে দিতে পারে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সব রাজ্যের রাজধানীর নাম। জাতীয় ফল, প্রাণী হোক বা জাতীয় পতাকার রং, সবই জিজ্ঞাসা করা মাত্র বলতে পারে সে।
advertisement
ময়ূখের মা বীনা বর্মণ এবং বাবা রাজু বর্মণের দাবি, মাত্র পনেরো মাস বয়স থেকেই আশপাশে যা শুনত, তা মনে রাখতে পারত ময়ূখ। অস্ফুটে তা বলারও চেষ্টা করত সে। কিছুদিন পর থেকে ছেলেরই এই আশ্চর্য ক্ষমতার বিষয়ে ময়ূখের বাবা মা নিশ্চিত হন। ধীরে ধীরে বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ময়ূখের বাবার ছোট একটি দোকান রয়েছে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বোর্ডে লেখালেখি করেই সংসার চালান তিনি। ছেলের প্রতিভা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখন ও দেশ, বিদেশের বিভিন্ন জায়গার রাজধানীর নাম বলতে পারে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামও বলে দেয়। এমনকী, আমরা ওকে পুজোর মন্ত্র শিখিয়েছিলাম, সেটাও ওর মনে আছে। আমি জীবনে খুব বেশি কিছু করতে পারিনি, কিন্তু আমি চাই এই প্রতিভার জোরে ময়ূখ অনেক বড় হোক।’’
মাত্র ২১মাস বয়সে এখনও বই, খাতা বা কলমের সঙ্গে পরিচয় হয়নি ময়ূখের। কিন্তু সুযোগ পেলেই খেলাচ্ছলে সাধারণ জ্ঞানের নানা টুকিটাকি বিষয়ে ময়ূখের কানে তুলে দেন তার মা। আশ্চর্য ক্ষমতার বলেই তা মনে রাখতে পারে ওই শিশু।