বেশ কয়েকজন কো-অর্ডিনেটরও আক্রান্ত। পরিবারের একজনের লালা রসের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে বাকি সদস্যদেরও রিপোর্ট একই আসছে। এতেই বেশি উদ্বিগ্ন প্রশাসক। আর তাই সু চিকিৎসা পরিষেবা জারি রাখার জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে আজ চিঠি পাঠালেন নবান্নে। তাঁর দাবী, পুরসভা এবং লাগোয়া মাটিগাড়া ব্লকের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আগামিতে ভয়ঙ্কর আকার নেবে। প্রশাসকের অভিযোগ, চিকিৎসকের সংখ্যা কম। অপ্রতুল চিকিৎসা কর্মীর সংখ্যাও। বহু হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই। অক্সিজেন সিলিণ্ডারের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। অথচ প্রতিদিন আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধমুখী। আক্রান্তের পরিসংখ্যানে উত্তরবঙ্গে সবচাইতে এগিয়ে শিলিগুড়ি। পুরসভা তো বটেই, মহকুমার গ্রামীণ ৪ ব্লকেও একই অবস্থা। পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরনো এবং বিসর্জন ঘাটের জমায়েতের পর যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, তা জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছলেই স্পষ্ট। কোভিড টেস্টের লাইনে লম্বা ভিড়। ফিভার ক্লিনিক ওয়ার্ডেও থিক থিক ভিড়। গোটা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন প্রশাসক সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন।
advertisement
দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক রাজ্য। নইলে গ্রাফ কমানো যাবে না। অশোকবাবু জানান, প্রয়োজনে পুরসভার সহযোগিতা চাইলে তা সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হবে। একযোগে কাজ করতে হবে। এর আগেও একাধিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ জবাব পেয়েছেন। এক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাবাদি তিনি। আক্রান্তের গ্রাফ যেখানে বাড়ছে সেখানে কোভিড হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কমেছে। বেসরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে চলে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অবশ্য বেড বাড়ানো হয়েছে। তবে এই মূহূর্তে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো।
PARTHA PRATIM SARKAR