স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, এলাকায় সকাল থেকেই দাঁপিয়ে বেড়ায় দুটি বাইসন। এরপর বন দফতরের দল এসে ঘুমপাড়ানি গুলি করে লোকালয় থেকে উদ্ধার করে বাইসন দুটিকে। এরপর এদিন আবার লোকালয়ে প্রবেশ করে একটি হাতি। স্থানীয় এক ব্যক্তি গোপন সরকারের বাড়িতে হানা দেয় হাতিটি। প্রায় ৪০ কেজি ধান খেয়ে নেয় হাতিটি। তবে প্রাণে বেঁচে যান পরিবারের সকলে। এরপর বন দফতরের একটি দল ঘুমপাড়ানি গুলি করে নিয়ন্ত্রণ করে হাতিটিকে।
advertisement
বন্যপ্রাণ অভিজ্ঞ ব্যক্তি অর্ধেন্দু বণিক জানান, “এই সময়ে জঙ্গলে খাবারের কিছুটা অভাব থাকে। তাই ভুট্টা ও ধান খাওয়ার টানেই নিকটবর্তী চিলাপাতা এলাকা থেকে বন্যপ্রাণ প্রবেশ করে লোকালয়ে।\” বন দফতরের কোচবিহার ডিভিশনের এডিএফও বিজন কুমার নাথ জানান, “বার বার লোকালয়ে বন্যপ্রাণ প্রবেশের সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর। বাড়ানো হয়েছে বন্য প্রাণের ওপর বাড়তি নজরদারি।”
আরও পড়ুন : সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও উজ্জ্বল বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার
তবে বার বার বন্যপ্রাণ লোকালয়ে প্রবেশ করার ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে গোটা এলাকায়। বাইসন এবং হাতির দাপটে রীতিমত চাঞ্চল্যের মাঝে রয়েছে মাথাভাঙা মহকুমা এলাকার বাসিন্দারা। বন দফতরের কাছে দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।