প্রায় ৮০০০ জন মানুষের জন্য এই খাবারের আয়োজন মালদহ জেলা পুলিশের। খাবার তৈরির জন্য হাজির ছিলেন প্রায় ২০ জন রাঁধুনি। তার মধ্যে অন্যতম পলাশ দাস জানান, "বুধবার রাত থেকে আমরা খাবার তৈরি করছি। খাবার পরিবেশন করা হবে সবাইকে গরম গরম। যা রান্না করা হয়েছে তাতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ খাবার পাবেন।" মাংস সেদ্ধ করতে করতে হাসিমুখে জবাব দিল পলাশ৷ তবে রান্নার জায়গায় যাতে বিনা অনুমতিতে কেউ না আসতে পারে, তার জন্য কড়া পুলিশি ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল।
advertisement
রান্নার কাজ কতটা এগোচ্ছে তা নিজে এসে বারবার খোঁজ নিয়েছেন মালদহ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। এদিন বিয়ের অনুষ্ঠানের একটা চমক যদি খাবারের আয়োজন হয়ে থাকে, তো অন্য চমক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর উপহার। এদিন তিনি নিজে হাতে উপহার তুলে দেন নব্য দম্পতিদের হাতে। উপহারে ছিল কনের শাড়ি ও সাজগোজের নানা উপকরণ। ছিল ছেলের জন্য পোষাক। এছাড়া নতুন সংসার পাতার জন্য দেওয়া হল বাসনপত্র সহ নানা জিনিস। ‘দিদি’- র হাত থেকে উপহার পেয়ে দারুণ খুশি যিশু মাহাতো থেকে অন্নপূর্ণা হাঁসদা সকলেই।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, "এমন অনুষ্ঠান এবার থেকে রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত সমস্ত এলাকায় হবে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এমন অনুষ্ঠান হবে উত্তরের এক চা বাগানের মধ্যে।" নব দম্পতিদের আশীর্বাদ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করে দিয়েছেন তাদের অধিকার রক্ষার জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। যাতে কেউ তাদের জমির অধিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেই আইন করা হয়েছে। আদিবাসীদের জন্য যে পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়েছে তাও যেন সকলে পান সেটাও দেখতে বলেছেন জেলাশাসককে। আদিবাসী রীতি, আদিবাসী গান আর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তাই মুখরিত হয়ে থাকল মালদায় আদিবাসী গণবিবাহের অনুষ্ঠান।
Abir Ghoshal