আরও পড়ুন- স্টেশনে একা জবুথবু অবস্থায় বসেছিল মেয়েটি, ‘তুমি কে?’ GRP জিজ্ঞাসা করতেই…ঘাম ছুটল সবার!
**ঘটনার সূত্রপাত:**
১৫ জানুয়ারি, মুরারি মজুমদারের ছেলে সুমিত মজুমদার এবং পাশের ফালাকাটা ব্লকের এক যুবতী, পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন। দীর্ঘ দিনের প্রেম। তাঁরা জানতেন, পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেবে না, তাই তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন।
advertisement
ধূপগুড়িতে প্রেম করে পালিয়ে মন্দিরে বিয়ে, হামলায় প্রাণ গেল ছেলের বাবার
আরও পড়ুন- ট্রেনের টয়লেটে ‘অস্বস্তিকর’ শব্দ…! কী চলছে ভিতরে? GRP এসে দরজা ভাঙতেই গলগল করে বেরোল…!
**মেয়ের পরিবারের হামলা:**
মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে খবর পেয়ে ১৭ জানুয়ারি ছেলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তবে, হামলার পর ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও, ধূপগুড়ি থানার পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
**আত্মসমর্পণ এবং আদালত:**
এরপর ছেলের পরিবার ছেলেকে এবং মেয়েকে জলপাইগুড়ি আদালতে নিয়ে আত্মসমর্পণ করায়। তাঁরা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে দাবি করেন যে, তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজেদের ইচ্ছেতেই বিয়ে করেছেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
**হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা:**
এদিকে, মেয়ের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ২১ জানুয়ারি রাতে সুমিতের বাড়িতে হামলা চালায়। মোটরবাইক এবং দুটি বড় গাড়ি নিয়ে হামলাকারীরা বাড়ির লোকজনের উপর আক্রমণ করে। এই হামলায় সুমিতের বাবা মুরারি মজুমদার গুরুতর আহত হন এবং পরে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
**এলাকায় উত্তেজনা এবং পুলিশী ব্যবস্থা:**
এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে ছেলের পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।