গত ৪ অক্টোবর রাতে ধূপগুড়ি মহকুমার জলঢাকা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয় হোগলা পাতা, কুশামারি, কুল্লাপাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল শতাধিক বাড়ি। সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ভেসে যায় নদীর উপরের সেতু সহ রাস্তাঘাট। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল যোগাযোগ।
আরও পড়ুনঃ সাইকেলেই সার্কাস! পেটের দায়ে ঝুঁকির খেলায় মেতেছেন জলপাইগুড়ির গৌরাঙ্গ, ভিডিও দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন
advertisement
এই অবস্থায় কেউ কেউ রেললাইনের ধারে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কেউ আবার ঠাঁই নেন উঁচু রাস্তার পাশে। এরপর সরকারিভাবে ত্রাণ শিবির খোলা হয়। সেই সঙ্গেই খোলা হয়েছিল কমিউনিটি কিচেন। ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও আজও গৃহহারা কুল্লাপাড়া, বিহারি পাড়ার বহু বাসিন্দা সরকারি ত্রাণ শিবিরেই রয়েছেন, এখনও চলছে কমিউনিটি কিচেন। সময়মতো খাওয়াদাওয়া দেওয়া হচ্ছে সর্বহারা গ্রামবাসীদের।
অন্যদিকে সরকারি তরফে সার্ভে করা হয়েছে। মিলবে হারিয়ে যাওয়া সরকারি নথিপত্র। যাতায়াতের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো। বিপর্যয়ের ধাক্কা ভুলে ফের আশায় বুক বেঁধেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। মিলবে অনুদান, তৈরি হবে ঘর, এখন সেই আশাতেই রয়েছেন তাঁরা।
