#মাটিগাড়া: মাটিগাড়া থানার লকআপে এক অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু। বুধবার রাতে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের এসিজিএমের কাছে আবেদন জানায় শিলিগুড়ি পুলিশ। সেই মতো আজ একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে। বুধবার দুপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে খোলাইভক্তরী থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। থানার লকআপেই অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিল বেচন রায় নামে ওই বেআইনি মদের কারবারী।
advertisement
সন্ধ্যে পৌনে ৬টা নাগাদ অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানায় এসে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে বেচন রায়ের। মৃতের ছেলে রাহুল রায়ের অভিযোগ, পুলিশের বেদম প্রহারেই বাবার মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে গতকালে রাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আজ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্যে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি আটকে ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশি মধ্যস্থতায় মিনিট দশেকের মধ্যে অবশ্য বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে বেচনবাবুর। মৃতের শরীরের পেছনের দিকে ক্ষত চিহ্নও রয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবী তুলেছেন তাঁরা। বদলি নয়, বরখাস্ত করতে হবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ গতকাল দুপুরে পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকাও দাবি করে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিলিগুড়ি পুলিশের পশ্চিমের ডিসিপি। তিনি জানান, তদন্ত চলছে। তবে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ঠিক নয়। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষিত করা হয়েছে। ব্লক হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ডিংও করানো হচ্ছে। আইন মেনেই সব করা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনারও বিষয়টির ওপর নজর রেখে চলেছেন। তবে এখোনও পর্যন্ত মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।