এরপর রেলপুলিশ ব্রহ্মপুত্র মেলে খোঁজাখুঁজি করে ট্রেনের বাথরুমের দরজা ভেঙে ওই রেলযাত্রীকে উদ্ধার করে। এরপর মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, মৃত রেলযাত্রীর লাগেজপত্রের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। মাদক জাতীয় কোনও কিছু খাইয়ে লুটপাট বা খুনের ঘটনাও হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁদের। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোরের শিয়ালদহ লোকালে রক্তারক্তি কাণ্ড, আঁতকে উঠল সকলে! আশঙ্কাজনক ব্যবসায়ী
জানা গিয়েছে, বছর ত্রিশের যুবক সৌরভ বিড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও এক মেয়ে রয়েছে। শুক্রবার ট্রেনে রওনা হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। কখনও কোনও সমস্যা বা শারীরিক অসুবিধার কথা জানাননি। রাত আটটা পর্যন্ত কথা হয়েছিল। কিন্তু, এরপর থেকে ফোন বেজে গেলেও তাঁর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: 'বেশি লাফাবেন না, সময় খুব খারাপ', তুমুল আক্রমণ দিলীপ ঘোষের! নিশানায় 'বাঘ'
তাই, ট্রেন মালদা টাউন স্টেশনে আসার আগেই রেল পুলিশের সাহায্য চায় পরিবার।তবে যেভাবে ট্রেনের বাথরুম থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে ট্রেনের যাচ্ছি সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বাথরুমে থেকে গেলেন ? কেন তা ট্রেনের নজরদারির দায়িত্বে থাকা সুরক্ষা কর্মীদের নজর এড়িয়ে গেল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সহযাত্রীরা কেন দীর্ঘক্ষণ কোচের একটি বাথরুম বন্ধ হয়ে থাকলেও টের পেলেন না প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। মৃত রেলযাত্রীর সঙ্গে থাকা লাগেজপত্রের কোনওরকম হদিশ না পাওয়ার ঘটনাতেও রহস্য দানা বেঁধেছে।