সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উত্তরে পৌঁছেই তিনি প্রথমে যান দুর্গাপুজোর দশমীর দিন মাল নদীতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে৷ সেখানে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে ঢেকে শোকে-যন্ত্রণায় কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ আবার কোথও গিয়ে হতের পরিবারের কোনও ছোট্ট সদস্যকে কোলে তুলে নিতেও দেখা যায় মমতাকে৷ সব মিলিয়ে তিনি রাজ্যের প্রধান প্রশাসনকের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে একেবারে কাছের মানুষটি হয়ে ওঠেন কয়েক মুহূর্তে৷ তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে এই ছবির পড়ল ক্যামেরায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কাদের প্রার্থী করা হবে? সাংগঠনিক বৈঠকে 'গুণাগুণ' নিয়ে নির্দেশ বনসলের
আরও পড়ুন: বউবাজারে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি, ফর্ম জমার ১৫-৩০ দিনের মধ্যে মিলবে ক্ষতিপূরণ
কয়েকটি বাড়িতে দশমীর রাতেই নেমে এসেছিল অন্ধকার৷ উৎসবের আলো নিভে গিয়েছিল এক মুহূর্তে৷ সে রাতের স্মৃতি এখনও টাটকা৷ প্রয়াতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মমতা সে রাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘‘যাঁরা কাজ করেছেন, প্রশাসন, ডিএম, এসপি থেকে শুরু করে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে, বুলুচিক, স্বপন থেকে শুরু করে, স্থানীয় সাধারণ মানুষ, সকলের সহযোগিতায় ৪৫০ জনকে বাঁচানো গিয়েছে৷ এঁদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি৷ এ ভাবে পাড়ার ছেলেমেয়েরা বিপদে-আপদে এগিয়ে এলে আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পারি, বাঁচাতে পারি৷ তাঁদের কাছে আমি খুবই কৃতজ্ঞ, এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷’’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বারংবার উঠে আসে স্থানীয় মানুষদের কথাও৷ খবরে উঠে এসেছিল একাধিক নাম, যাঁরা নিজের জীবন তুচ্ছ করে সেদিন অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী সব বাড়িতে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদেরও ধন্যবাদ জানান৷