বর্তমানে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া চলছে, যা নিয়ে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিভ্রান্তি ও আতঙ্কের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের আশঙ্কা, অসতর্কতার কারণে বহু বৈধ নাগরিকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। কোচবিহারের জনবিন্যাসে রাজবংশী ও মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় অংশ থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে এই অঞ্চলকে সংবেদনশীল করে তুলেছে। তাই রাসমেলা ময়দানের সভা থেকে এসআইআর ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন রাজনৈতিক মহলের নজর।
advertisement
এসআইআর নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক দূর করতেই মমতা জেলায়-জেলায় রাজনৈতিক সফর শুরু করেছেন। প্রথম সভাটি করেছিলেন বনগাঁয়। তারপর মালদহ, মুর্শিদাবাদ। এবার তিনি দু’দিনের সফরে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে।
বনগাঁ থেকে মমতা পরপর রাজনৈতিক সভায় একটিই কথা বলছেন, “আমি ভোট চাইতে আসিনি। যখন নির্বাচন হবে, তখন ভোটের কথা বলব। আমি এসেছি শুধুমাত্র আপনাদের পাশে থাকতে। আমি জানি, আপনারা সকলেই উদ্বিগ্ন। যে কায়দায় তড়িঘড়ি এসআইআরের কাজ চলছে, তা অবৈজ্ঞানিক। তিন বছরের কাজ তিন মাসে হয় না। ফলে ইতিমধ্যে চল্লিশের কাছাকাছি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমি সবাইকে একথাই বলতে চাই, কেউ নিজের জীবন বিসর্জন দেবেন না। ভয় পাবেন না। আমি থাকতে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। কাউকে পুশব্যাক করা হবে না। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সবাই নাগরিক। কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না।”
২০২৪ এর লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসন জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দিক থেকে কোচবিহার জেলা।
