মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব ওখানে পুনরায় সেতু চালু করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন পুর্ত দফতরের সচিব অন্তরা আচার্য। এদিন তিনি বলেন, ভেঙে যাওয়া সেতুর পাশে আর একটা নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ চলবে। পাশাপাশি একটা বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হবে। তবে সেই কাজ করতে এক মাস সময় লাগবে। তাই আপাতত হিউম পাইপ বসিয়ে অস্থায়ী সেতু বানিয়ে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিবকেও।
advertisement
পুরনো সেতু ভেঙে যাওয়া: সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে দুধিয়া নদীর একটি পুরনো সেতু ভেঙে গেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত: এই সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে শিলিগুড়ি ও মিরিকের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
সরকারের পদক্ষেপ বিকল্প ব্যবস্থা: রাজ্য সরকার দ্রুত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বেইলি ব্রিজের মতো অস্থায়ী সমাধান তৈরির কথা ভাবছে।
নতুন নির্মাণ: দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা শিলিগুড়ি এবং মিরিকের মধ্যে যোগাযোগ পুনরায় স্থাপন করতে সাহায্য করবে।
কেন দুধিয়া গুরুত্বপূর্ণ ? এই সেতুটি শুধু উত্তরবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথই নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটনের জন্যও অপরিহার্য, বিশেষ করে শিলিগুড়ি ও মিরিকের মধ্যে পণ্য সরবরাহ এবং পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য। পুরনো দুধিয়া সেতুকে ঘিরে অনেক কাহিনি আছে। নানা ঝড়-ঝাপটা সয়ে যাওয়া এই সেতু ভেঙে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ বন্ধ।
পরিস্কার আকাশ সঙ্গে চলছে ঠান্ডা হাওয়া! নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কমেছে বালাসনের জল! নতুন করে দুধিয়ায় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। অন্যদিকে দুধিয়ায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরেই আসবেন ঘটনাস্থলে। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে জোরকদমে চলছে সভার কাজ। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের পক্ষ থেকেও চলছে জোরকদমে কাজ। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাস্তা জুড়ে ব্যারিকেড পুলিশের।