এদিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশের জন্যে দেখা পাওয়া যায়নি কাঞ্চনজঙ্ঘা। তা বলে পর্যটকদের আনাগোনা কমেনি দার্জিলিং জুড়ে। এদিন ভিড় দেখে রাজ্যের পর্যটন দফতরকে আরও বেশি করে ট্যুরিজম ডেভালপমেন্টের বিষয়ে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সিংমারি থেকে হেঁটে চৌরাস্তার দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা বৃদ্ধা বিষ্ণু তামাংয়ের।
advertisement
আরও পড়ুন-২৮ বছরের যুবকের সঙ্গে প্রেম ৬৭ বছরের মহিলার! নতুন করে আবার ঘর বাঁধছেন এই দম্পতি
বয়সজনিত কারণে ও বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে তার অসুবিধা হচ্ছিল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁজ নেন তাঁর শারীরিক অবস্থার। কোমরে অসুবিধার কথা তিনি জানান। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, ওই মহিলার বাড়ির সাথে যোগাযোগ করুন। কোমরে একটা মেডিক্যাল বেল্টের ব্যবস্থা করে দিন। এর পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আর যা যা দরকার সেই সব সাহায্য যেন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন জোড়বাংলোর মোড়ে দেখা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। সেখানেই অপেক্ষা করছিল একটি পরিবার। এক মহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন একটি ফুটফুটে কন্যাকে নিয়ে৷ মুখ্যমন্ত্রী তাকে কোলে তুলে নেন। অগ্নি নাম রাখা হয় তার। এ ছাড়া রাস্তায় এদিন একাধিক বাচ্চার সঙ্গে দেখা হয়েছে। তারাও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে হাই-হ্যালো বলতে থাকেন। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীও তাদের চকোলেট উপহার দিয়েছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় উঠে এসেছে ভানু ভবনে একটি মিউজিয়াম করা হবে। জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এমন ভাবে মিউজিয়াম ও প্রর্দশনী করতে হবে যাতে বৃষ্টি বা অন্য কিছুতে নষ্ট না হয়। একইসাথে পাহাড়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যাতে ভানু ভবনে করা যায় সেটিও নজর দিতে বলেছেন। এদিন অবশ্য পাহাড়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি তাদের থেকে খোঁজ নিয়েছেন পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। প্রকল্পের সুবিধা সবাই পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়েও তিনি খোঁজ নিলেন।