দুর্গা পুজোর বিসর্জন চলাকালীন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে ভেসে গিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়৷ ওই বিপর্যয়ের মুহূর্তে স্থানীয় সাত জন যুবক উদ্ধার কাজে নেমে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা করেন৷
আরও পড়ুন: কীভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা, সেদিনের ঘটনা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীকে
এ দিন জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক সভায় সেই সাতজনের হাতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মহম্মদ মানিক, দীপক ভোদকা, মনোজ মুন্ডা, দারা সিং, সৌমেন চৌধুরী, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, আমিরা মাহাতো- এই সাত জনকে মঞ্চে ডেকে নেন মমতা৷ কীভাবে তাঁরা সাঁতার কেটে প্রবল স্রোতের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে উদ্ধার করলেন, উদ্ধারকারীদের কাছ থেকে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি, সরকারি কোনও সাহায্য তাঁদের প্রয়োজন কি না, তা জানতে চান মমতা৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিপর্যয়ে বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা, অভিভাবক স্নেহে শিশুকে নিলেন কোলে
উদ্ধারকারীদের মধ্যে কেউ চা বাগানে কাজ করেন, কেউ আবার গাড়ি চালান৷ তাঁদেরকে সিভিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ ছাড়াও উদ্ধারকারী প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও উদ্ধারকারীদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়ে দেন, তাঁরা বর্তমান পেশাতেই থাকতে চান৷
উদ্ধারকারীদের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিবারের একজন করে সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেককেই গ্রুপ সি এবং কনস্টেবল পদে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে৷ প্রত্যেককেই মাল ব্লকের ভিতরেই চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
