এ দিন শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি বলেন, 'কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে৷ আমি টাটাকে তাড়িয়ে দিয়েছি, আর টাটা এখন চাকরি দিচ্ছে৷ আরে টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে৷ আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গেছিলেন৷ আমরা জমি ফেরত দিয়েছি৷ জায়গার তো অভাব নেই৷ জোর করে কেন জমি নেব? আমরা এত প্রোজেক্ট করেছি, কোথাও তো জোর করে জমি নিইনি৷ এই কাওয়াখালিতে এত সমস্যা ছিল, আমরা মিটিয়ে দিয়েছি৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়ছেন? সুকান্তকে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
এর পরেই শিল্পপতিদের বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখানে যাঁরা ব্যবসায়ী আছেন, আমরা কারও সঙ্গে বৈষম্য করতে চাই না৷ আমি চাই সবাই বাংলায় বিনিয়োগ করে এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুক৷ আমরা কারও চাকরি বন্ধ করব না, কারও চকরি খাবো না৷ এমন বিজনেস করে দেব, চাকরি চাইতে হবে না, ডেকে নিয়ে যাবে৷ বাংলার ছেলেরা এত মেধাবী৷'
আরও পড়ুন: 'কোনও ভাগাভাগি নয়, উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়েই বাংলা!' শিলিগুড়িতে বড় বার্তা মমতার
সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার৷ ২০০৬ সালে জমি ঘেরার কাজ শুরু হওয়ার সময় থেকেই অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একটানা ২৬ দিন অনশনও করেন মমতা৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০০৮ সালের ৭ অক্টোবর সিঙ্গুর প্রকল্প বাতিল করার কথা জানিয়ে দেন টাটা গোষ্ঠীর তৎকালীন চেয়ারম্যান রতন টাটা৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাটাদের ন্যানো কারখানার প্রকল্প সরিয়ে যায় গুজরাতের সানন্দে৷
টাটাদের রাজ্য ছাড়া করে বাংলার শিল্প ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করে আসত সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলি৷ এ দিন উল্টে মমতাই সিপিএমকে টাটাদের বিদায়ের জন্য দায়ী করলেন৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে খারিজ করে বিরোধী নেতাদের দাবি, তৃণমূলনেত্রীর আন্দোলনের জেরেই টাটাদের গাড়ি কারাখানা বাংলা থেকে গুজরাতে সরে গিয়েছে৷