উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার মালদহ টাউন স্টেশন। রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ "মালদহ টাউন স্টেশন" হয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ জোড়া মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করে। মালদহ স্টেশন ছুঁয়ে চলে আরও অন্তত ১৫ টি দুরপাল্লার ট্রেন। রেলের হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার যাত্রী মালদহ টাউন স্টেশনকে ব্যবহার করেন। এরাজ্যের পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খণ্ড এমনকি বাংলাদেশের যাত্রীরাও অনেকেই ট্রেন যোগাযোগের জন্য মালদহ টাউন স্টেশনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই এই স্টেশনের প্রবেশ পথের কাছের ফুটওভার ব্রীজ বন্ধ করে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ, পুরনো এই ফুটওভার ব্রীজ বিপদজ্জনক , বেশিদিন ব্যবহারের উপযুক্ত নয় বলেও ধারনা রেলের বিশেষজ্ঞদের একাংশের।বর্ধমান স্টেশনের পোর্টিকো ভেঙে পড়ার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রেল।
advertisement
রেল সূত্রে খবর, পুরনো এই ফুটওভার ব্রীজ আদৌও চালু হবে কিনা তা অনিশ্চিত। এই ওভার ব্রীজের ওপরে ওঠার জন্য ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে লিফট বসানোর কাজেরও সূচনা করা হয়েছিল কয়েকমাস আগে। আপাতত সেই কাজ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। লিফট বসানোর কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে এখন বিশালাকার গর্ত । প্ল্যাটফর্মের মধ্যেই জমা হয়ে রয়েছে মাটির স্তূপ।
যাত্রীদের অভিযোগ, মালদহ টাউন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাতায়াতের জন্য বাকী যে দুটি ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করতে হচ্ছে। সেগুলি মূল গেট থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। এমনকি, কোনওকারণে শেষ মুহূর্তে স্টেশনে এলে অনেক সময় ট্রেনও মিস হয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার এই অবস্থায় রেল লাইন পেরিয়ে শটকার্টে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে ছুটছেন। ফলে ঝুঁকি তৈরী হচ্ছে। মালদহ টাউন স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের বন্ধ হয়ে থাকা ফুটওভার ব্রীজ আদৌও চালু হবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি পূর্ব রেলের মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার যতীন্দ্র কুমার।তিনি জানিয়েছেন, ওই ফুটওভার ব্রীজ থাকবে, না ভেঙে ফেলা হবে সেই বিষয়ে রেলের উপর মহল থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সমস্যা হলেও আপাতত দূরের দুটি ফুটওভার ব্রীজকেই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
Sebak DebSarma